সাকিবুর রহমান ডলার, কালীগঞ্জ
আজ পহেলা ফাল্গুন। একই দিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আবার সামনেই একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিবসগুলো আসলেই ফুলের কদর বেড়ে যায়। অবশ্য সারাবছরই ফুলের বিকিকিনি চলে। প্রতিটি মানুষই কোন না কোন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে ফুল কিনে থাকেন। কারণ ফুল ভালোবাসেনা এমন কেউ ত সমাজে বাস করেনা।
এ জন্য দেশের ফুল উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে চাষি, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ব্যস্ততা এখন চোখে পড়ার মতো। এখন হাটে রং বেরঙের ফুলের ডালি সাজিয়ে বসে থাকছেন কৃষকরা। বিক্রিও করছেন ভালো দামে, এতে খুশিও তারা।
ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীর পরেই সুপরিচিত ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ। এখানাকার বাজারে মাসখানেক আগে যে গোলাপ বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। চায়না গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। কয়েক বছর ধরে এত ভালো দাম পাননি-বললেন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ফুলের বাজারে ফুল বিক্রি করতে আসা কয়েকজন ফুলচাষি।
গতকাল বালিয়াডাঙ্গার ফুলবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। ত্রিলোচনপুর গ্রামের ফুলচাষি টিপু সুলতান জানান, তিনি এ বছর ১২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম ভালো হওয়ায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফুল চাষি ফজলুর রহমান খান বলেন, ভালোবাসা দিবসে রজনীগন্ধা ও ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি বেশি হয়। এজন্য বেশি বেশি করে ফুলের পরিচর্যা করতে হয়। বিশেষ করে ফুলের মান ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
এই বাজারে ঢাকা থেকে ফুল কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী আছির উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার ফুলের দাম অন্যবারের তুলনায় ডাবল। যে ফুল গত বছর কিনেছি সাত টাকায় এবার সেই ফুল কিনতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। এখন গোলাপের চাহিদা বেশি। কিন্তু বাজারে আমদানি কম হচ্ছে, ফলে গোলাপের দাম অনেক বেশি।
প্রতিদিন কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মিনি ট্রাক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসের ছাদে ফুল যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, এই মৌসুমে ফুলের উৎপাদন একটু কম হলেও, বসন্ত বরণ, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও মাতৃভাষা উপলক্ষ্যে ফুলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। কৃষকেরা বাজারে ফুলের ভালো দাম পাচ্ছেন। সারাদেশের মধ্যে ঝিনাইদহে সব থেকে বেশি পরিমাণে গাঁদা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। যা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফুলের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ ফুল চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং নিয়মিত বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে।
শিরোনাম:
- যশোরে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস : ‘গভীর ঘুমে’ স্বাস্থ্য বিভাগ
- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দরকার নির্বাচিত সরকার : নার্গিস বেগম
- জামায়াতের উদ্যোগে যশোরে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ
- অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী প্রান্তের ১৭ বছর কারাদণ্ড
- যশোরে এনটিভি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ঝিকরগাছায় এসিড নিক্ষেপে শিশু ও নারীসহ আহত ৩
- এমএম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে চৌগাছা ছাত্রদল