বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিটি বেগুনের উৎপাদনের মাঠ পরিদর্শনের জন্য ইউএসএইড’র একটি প্রতিনিধি দল গত তিনদিন ধরে যশোর খুলনা অঞ্চল পরিদর্শনের শেষ দিনে আজ (বুধবার) সকাল ও দুপুরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতি ফকির পাড়া ও খুলনার ফুলতলা শিকরির হাট কৃষি মাঠ পরিদর্শন করেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপি যশোর, খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন কৃষি মাঠ পরিদর্শন করেন। গতকাল খুলনার ফুলতলা উপজেলার শিকরির হাট গ্রামে মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে কার্যক্রম শেষ হয়। এর আগে যশোরের মাণিরামপুর ও খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন কৃষি জমিতে বিটি বেগুনের মাঠ পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দলটি।
ইউএসএইডের এই প্রতিনিধি দলটির সাথে বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে খুলনা ও যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন কৃষি উৎপাদনশীল ক্ষেত পরিদর্শন এবং কৃষকদের সাথে বিটি বেগুনের চাষাবাদ, এর উপকারিতা এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। এ সময় কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রতিনিধি দলটি এবং সেইসাথে বিটি বেগুন চাষিরা এই বেগুন চাষের ফলে তারা কিভাবে লাভবান হয়েছেন তার গল্প বলেন।
প্রতিনিধিদলটির সাথে গত মঙ্গলবার খুলনার কয়রা উপজেলার বিটি বেগুনের ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এ সময় কয়রা গ্রামের বিটি বেগুন চাষি আনিসুর রহমান ও আবুল হাসানের কাছ থেকে বিটি বেগুন চাষ করে তাদের বদলে যাওয়ার গল্প শোনেন।
প্রতিনিধি দলটির সাথে আরো ছিলেন যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড, কাউছার উদ্দিন আহাম্মদ, গাজীপুর কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের জীব প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদা খাতুন,ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুল হাসান এবং যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাছির উদ্দিন মাহমুদ,মাঠ পরিদর্শনে ইউএসএইডের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোহম্মদ সায়েদ শিবলী, ড. মেহেদী হাসান, জেরী সাংমা, সামিরা হাবিব,ও তাবাস্সুম বাসার।
এ সময় সকল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ড. বিজে পারানজাপি, সহযোগী পরিচালক, বিটি বেগুন প্রকল্প এবং ড. মো জাহাঙ্গীর হোসেন এ প্রকল্পের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর।
এদিকে গত সোমবার বিকেলে যশোরের মাণিরামপুর রাজগঞ্জের বিভিন্ন কৃষি জমিতে কর্মকর্তারা বিটি বেগুনের প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শন করেন।