সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন’র ম্যানেজারকে ঘুষ দিয়েও ঋণ না পেয়ে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রত্যাখান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বীরমুক্তিযোদ্ধা। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়ার গয়ড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা বিসিকে একটি তার কাটার কারখানা করেছিলাম। সে সময় বিসিক ঋণ দিয়েছিল সাড়ে ৬ লাখ টাকা। অর্থের অভাবে কারখানা চালাতে না পারায় জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আদায় করে বিসিক। এ জন্য আমার জমি বিক্রি করে তাদের ঋণ পরিশোধ করি।
এছাড়া গোপিনাথপুরের আমার নামীয় আরো ৫শতক জমি সড়ক বিভাগ কোন টাকা পয়সা না দিয়ে দখল করে নিয়েছে। এরপর শহরের আমতলা মোড়ে আমার নিজস্ব জমি থাকলেও কোন বাড়ি ছিল না। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে একটি ২ তলা বাড়ি নির্মান করলেও বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি আর্থিক সংকটে।
যে কারণে আমি বিভিন্ন ব্যাংকে হাউজ লোনের জন্য আবেদন করলেও লোন গ্রহণ করতে পারিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সাতক্ষীরা শাখায় আবেদন কররে সেখানকার ম্যানেজার আশিস মন্ডল আমাকে লোন দেয়ার জন্য আশ্বাস্ত করেন। দুই বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাইলে আমি তা সরবরাহ করি।
এছাড়া ৪ তলা ভবন পরিপূর্ণ করার জন্য ঋণের আশ্বাস দিয়ে আমার কাছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে ম্যানেজার আশিস। আমি সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজারের কাছে ১ লাখ টাকা প্রদান করি। কিন্তু দুইবছর পরে একটি চিঠি পাঠিয়ে তিনি আমাকে জানান এ মুহূর্তে কোন লোন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং আমাকে ৪০ হাজার ফেরত দিয়ে বলে বাকি ৬০ হাজার টাকা আমাদের খরচ হয়ে গেছে। এটা কি মগের মুল্লক। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত অবস্থায় সম্মান পাচ্ছি না।
রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে বরাবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাহলে মৃত্যুর পরে সম্মাননা দিয়ে আমি কি করব। আমি মৃত্যুর পরের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি সাতক্ষীরা হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।