বাংলার ভোর পতিবেদক
যশোরের মনিরামপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বোমা নিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিশু ওই গ্রামের আসলাম হোসেনের ছেলে আরজু (১০) ও রাকিবুল ইসলাম বাবলুর ছেলে মাইমুন মেহেদী (৪)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পুলিশ পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৯টি বোমা জব্দ করে।
ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা যায়নি।
ফতেয়াবাদ গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধা পাকা পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। ওহিদুল সেই ভিটায় থাকেন না। প্রতিবেশি আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখার কাজে ঘরটি ব্যবহার করেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আসলাম হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম নিজের ছেলে আরজু ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলে মেহেদীকে নিয়ে সেই ঘরের ভেতর জ্বালানি হিসেবে মেহগনি গাছের শুকনা পাতা রাখার জন্য মশারি টানাতে যান। তখন আরজু ও মেহেদী ঘরের ভেতর ঢুকে খেলা করার সময় তারা একটি লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ বস্তু পায়।
আরজু ও মেহেদী বস্তুটি নিয়ে খেলার উদ্দেশে নাড়াচাড়া করলে বস্তুটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাইমুন মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। শব্দ শুনে স্বজনেরা এগিয়ে গিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক দুই শিশুকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত দুই শিশুকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরও ৯টি পরিত্যক্ত বোমা জব্দ করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা অনুপ বসু বলেন, স্বজনেরা আমাদের কাছে বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেননি। তারা বলেন, চার্জার ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে দুই শিশু আহত হয়েছে।
অনুপ বসু আরও বলেন, আহত শিশু আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর মাইমুন মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুই শিশুকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।