বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের বেজপাড়ায় বোমা তৈরি কালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উঠতি বয়সের ৬ সন্ত্রাসীকে ৫টি ককটেল সাদৃশ্য হাত বোমাসহ আটক করেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৬ জন ও পলাতক ৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের পশ্চিমাংশ বর্তমানে উপশহর সবুল্লার মোড় লাভলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলাম ওরফে রানা, শহরের বেজপাড়া কবরস্থান জনৈক বদর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বিপুল, বেজপাড়া মেইন রোড ছয়তলার পাশে সাগর সিকদার, বেজপাড়া গোলগোল্লার মোড়ের ইসমাইল হোসেন নান্টু, বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প ডলারের বাড়ির ভাড়াটিয়া এজাজুল ইসলাম ও সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া হৃদয় হোসেন। এ সময় তাদের সহযোগী শংকরপুর চোপদারপাড়ার হানিফ, টিবি ক্লিনিক পাড়ার আল আমিন, বেজপাড়া চার খাম্বার মোড় ফুড গোডাউনের পাশে আলী রাজ বিশ^াস অপূর্ব ওরফে মন্টু ও শংকরপুর আশ্রম রোড পূর্বাংশ এলাকার আমজাদ হোসেন আকাশসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন পালিয়ে যায়।
কোতয়ালি থানার এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় ৬ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার সময় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একদল পুলিশসহ তিনি ডিউটি করছিলেন। বেজপাড়া গোলগোল্লার মোড় এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সূত্রে খবর পান বেজপাড়া রাবেয়া ডেইরি ফার্মের প্রাচীর বেষ্টিত খালি জায়গায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা জনসাধারণের প্রাণহানী বা সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করার জন্য ককটেল বোমা তৈরি করছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে রাত অনুমান ১০ টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌছুলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিরা দৌঁড়ে পালানোর একপর্যায় উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করে। এ সময় রবিউল ইসলাম ওরফে রানার কাছ থেকে ৩টি ও বিপুলের কাছ থেকে ২টি ককটেল সাদৃশ্য হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।