বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় হত্যা, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরকসহ ৩২ মামলার আসামি রমজান হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত রমজানের মা রেখা খাতুন শনিবার ৯ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন রেলগেট কলাবাগান পাড়ার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা (২৫) একই এলাকার তুহিন (২৮), রায়পাড়া তুলোতলার বাবু ওরফে পলিথিন বাবু (৩৫) চোরমারা দীঘির পাড়ের কুদরত (৩০), খড়কির ইবাদুল (২৫), রেলগেট পশ্চিম পাড়ার দেলোয়ার (২৪), একই এলাকার শুকুর আলী (২৮), চোরমারা দীঘিরপাড়ার সাগর (২৬), রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ইয়াসিন (২৬), চোরমারা দীঘির পাড়ার শাওন ওরফে পটকে শাওন (২২) চাঁচড়া ডালমিলের পায়েল (২২), বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন (২৮), আশ্রম রোড মহিলা মাদ্রাসার পাশের মেহেদি (৩০)।
হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে এদের মধ্যে পুলিশ পায়েল ব্যাপারি ও সাব্বির ইসলাম জয়কে রোববার রাতে আটক করে। আটক দুই জনের মধ্যে পায়েল এজাহারভুক্ত আসামি। আটকদের রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলায় রেখা খাতুন বলেছেন, তার ছেলে রমজান ইট বালির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আসামিরা রমজানের পূর্ব পরিচিত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসামিদের সাথে রমজানের মনোমালিন্য ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে আসামিরা রমজানকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করছিলো।
৮ মার্চ রাতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রমজান মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে রেলগেট পশ্চিম পাড়া কলাবাগান পাড়া রমজানের শ^শুর বাড়ির সামনে পৌছালে পিচ্চি রাজা, তুহিন, পলিথিন বাবু, কুদরত, ইবাদুল, দেলোয়ার, শুকুর আলী সাগর, ইয়াসিন, শাওন, পায়েল, সুমন ও মেহেদি, রমজানের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি খুন করার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ধারালো রাম দা দিয়ে বুকে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করে।
এক পর্যায়ে রমজান মাটিতে পড়ে গেলে পিচ্চি রাজা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রমজানের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে।
রমজানের চিৎকারে স্ত্রী পপি খাতুন এগিয়ে যায়। রমজানকে মারপিট করতে দেখে স্ত্রী পপি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে যায়।
এসময় আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর রমজানকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।