বাংলার ভোর ডেস্ক
এবার রোজায় স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, তবে সেই সিদ্ধান্ত আটকে গিয়েছিল হাইকোর্টের এক আদেশে। সেই আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে স্কুল খোলা রাখার পথ খুলেছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এ এম ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি হয়ে (আপিল বিভাগ) হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দিল। ফলে স্কুল খোলাই থাকবে। শুনানিতে স্কুল খোলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রোজায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোথায় কত দিন বন্ধ থাকে সেটি তুলে ধরেন। পরে আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে।
ঢাকার রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা শফিউর রহমান চৌধুরী নামে এক অভিভাবক স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেছিলেন। তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফয়েজ। আপিল বিভাগের এই আদেশের আগে খোলা, না বন্ধ, এই ধন্দে ছিল স্কুলগুলো। রোজা শুরুর দিন মঙ্গলবার কিছু স্কুল খোলা ছিল, কিছু ছিল বন্ধ। অনেক অভিভাবক সন্তানকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে বন্ধ দেখে ফিরেছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে।
গত ৮ ও ১১ ফেব্রুয়ারি পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে শফিউর রহমান রিট আবেদন করলে গত রবিবার সরকারের সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে গিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম কোনও আদেশ না দিয়ে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার সেই শুনানি শেষে আপিল বিভাগের আদেশ এল। ফলে স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল।