রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট এলাকাজুড়ে মাটির ড্রামট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাটি বোঝায় হাইড্রোলিক ট্রলির চলাচলে সড়ক ফাঁটাসহ ডেবে গিয়ে চলাচল অযোগ্য বেহাল হয়ে পড়ছে। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। সেই সাথে এসব ট্রাক্টরের উচ্চশব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন এলাকাবাসী। আর ধুলাবালিতে রোগাক্রান্ত হচ্চেন সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর, চালুয়াহাটি, হায়াতপুর, সাহাপুর, হাজরাকাটি বেলতলা, হরিহরনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক্টরকে ইটের ভাটার মাটি বহনের জন্য ড্রামট্রাক্টর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন এসব এলাকার বিভিন্ন গ্রাম্য সড়কে প্রতিদিন কয়েক শ’বার ড্রামট্রলি চলাচল করে।
এসব ট্রলি সড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচল করার কারণে এই এলাকার সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে খালি জায়গা ভরাট এবং বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এসব ট্রলিগুলোর বেপরোয়া চলাচলে ধুলাবালু উড়ে রাস্তার পাশে থাকা সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির ভেতরে ঢুকে। অন্যদিকে, সড়কে পড়া মাটির স্তুপগুলো বৃষ্টি হলে কর্দমাক্ত সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নেংগুড়াহাট বাজার পাড়া বিমল কর্মকার বলেন, কিছুদিন আগেই যে সড়ক ভালো ছিল।
ড্রামট্রলি দিয়ে অহরহ মাটি বোঝাই করে আসা-যাওয়ার কারণে সেবসব বড় ধরনের খানাখন্দ ও ফাঁটল সৃষ্টি হয়েছে। এনামুল নামে এক দোকানি বলেন, ধুলা বালির কারণে মুখে মাস্ক দিয়ে দোকানদারি করতে হয়। ট্রলিচালক মিঠু ও রিপন হোসেন বলেন, এই গাড়ি নিয়ে মাটি পরিবহন করার জন্য এক শ্রেণির নেতাদের গোপনে টাকা দিতে হয়।
আমরা ভাড়ায় মাটি বহন করি। যারা মাটির কেনে ও যাদের কাজে মাটি বহন করি তারা সব ঝামেলা ম্যানেজ করেন। যাতে ঝামেলা না হয়, আমরা ভাড়া নেওয়ার আগেই তাদের বলে নিই।
এ বিষয়ে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন, এসব সড়ক দিয়ে মাটির ড্রামট্রলি চলাচল করতে দেয়া যাবে না। কারণ এসব রাস্তার ধারণা ক্ষমতার চেয়ে মাটি বোঝায় ট্রলির ওজন বেশি।
যে কারনে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব ট্রলির কোনো নিবন্ধন নেই, অবৈধ এসব যানে মাটি বা পণ্য পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।