বাংলার স্বাস্থ্য
ভুল ধারণা: শুধু বয়স্ক পিতা-মাতার সন্তানদের ডাউন সিনড্রোম আছে।
বাস্তবতা: সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন রিসার্চ অনুসারে, ডাউন সিনড্রোম আছে এমন প্রায় ৮০ শতাংশ শিশুর জন্ম দেয়া নারীদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে ছিল। কম বয়স্ক নারীরাই গর্ভধারণ করে, যার কারণে কম বয়সী মায়েদের থেকে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু জন্মানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।
ভুল ধারণা: ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত একটি শিশুর কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
বাস্তবতা: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅ্যাবিলিটিসে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক ভ্যান্ডারবিল্ট কেনেডি সেন্টারের সমীক্ষা ইঙ্গিত করে যে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের পরিবারে বিবাহবিচ্ছেদের হার কম। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গবেষণা ছিল এটি এবং এতে ৬৪৭টি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যাদের ঘরে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
ভুল ধারণা: ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত একটি শিশুর কারণে তার ভাইবোনদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বাস্তবতা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত একটি শিশু তার ভাইবোনদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। উদাহরণস্বরূপ, জার্নাল অব ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅ্যাবিলিটি রিসার্চে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় ভাইবোনদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি কোনো নেতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কিছু মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, এ ধরনের শিশুর বিশেষ যত্ন পরিবারের সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভুল ধারণা: যাদের ডাউন সিনড্রোম আছে তারা অল্প বয়সেই মারা যায়।
বাস্তবতা: ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির গড় আয়ু প্রায় ৬০ বছর। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত কিছু লোক ৮০ বছর পর্যন্তও বাঁচে। এটা সত্য যে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের সাধারণ সমকক্ষদের মতো বেশি দিন বাঁচে না। তবে দুর্ভাগ্যবশত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত আফ্রিকান-আমেরিকানের গড় আয়ু মাত্র ৩৫ বছর।
ভুল ধারণা: ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত পাবলিক স্কুলে যেতে পারে না।
বাস্তবতা: ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরা পাবলিক স্কুলেও পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশের পাবলিক স্কুলগুলো তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেয়।
সূত্র: গ্লোবাল ডাউন সিনড্রোম ফাউন্ডেশন