চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজও জেলাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী জেলাটির জনজীবন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৪২ শতাংশ।
অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র দাবদাহে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
পর পর তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হলো দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাটিতে।
এমন তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যখন ওষ্ঠাগত, তখন আরও শঙ্কার খবর দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে— এপ্রিল মাসজুড়েই এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ছিল ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। দুপুর ১২টায় ৩৯ ডিগ্রি।
দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বর্তমানে তীব্র দাবদাহ চলছে। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এপ্রিল মাসজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’