ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিতের শিকার এবং চাবি কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হাসান রেজা। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গদখালী গ্রামের ওই উদ্যোক্তা। অবশ্য চেয়ারম্যান উদ্যোক্তাকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল সোমবার বিকেলে একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪নং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বিভিন্ন সময় উদ্যোক্তা হাসান রেজাকে দিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর চেয়ারম্যান অবৈধভাবে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ফতেপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনকে নিয়োগ দেন। অথচ এই নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়ে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে ৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় কোর্টে মামলা রয়েছে। (মামলা নং ১৪/২২৩, তারিখ ২৫/১১/২০২১ইং।)
বর্তমান উদ্যোক্তা আহসান রেজা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্মত না হওয়ায় ২১ এপ্রিল বেলা অনুমান ১১ টার দিকে তিনি উদ্যোক্তার রুমে ঢুকে তাকে লাঞ্ছিত করে অফিস রুমের চাবি কেড়ে নিয়ে বের করে দেন। সোমবার বিকেলে উদ্যোক্তা হাসান রেজা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বলেন, নাসিরকে আমি নিয়োগ দিয়েছি। উদ্যোক্তা হাসান রেজার কাছ থেকে চাবি নিয়েছি। কোন লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, সোমবার বিকেলে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।