বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ঢাকায় সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত স্বামীর মারপিটের শিকার ফেরদৌসী খাতুনকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা বুধবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ফেরদৌসী যশোর সদরের বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের ইমানা আলীর মেয়ে। ফেরদৌসীর স্বামী যশোরের শার্শার গোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত।
ফেরদৌসীর পিতা ইমান আলী জানিয়েছেন, ১৮ বছর আগে আমির হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে ফেরদৌসীর বিয়ে হয়। আমির হোসেন ঢাকা বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত থাকায় তার স্ত্রী ফেদৌসীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।
ফেরদৌসী তিন সন্তানের জননী। বেশ কয়েক বছর ধরে আমির হোসেন পরনারীতে আসক্ত হয়ে তার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। গত ৭ মাস আগে আমির হোসেন ফেরদৌসীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। ফেরদৌসী দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় আমির হোসেন তাকে মারপিট করে মঙ্গলবার উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল সকলে আমির হোসেন তার শ্বশুরকে বিষয়টি জানিয়ে চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গতকাল ঢাকার ওই হাসপাতালে যান।
নিরাপত্তার অভাবে মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমির হোসেন তার তিন ছেলে-মেয়েকে মায়ের সাথে আসতে দেননি। এ ঘটনায় তিনি অইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।