বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ সংলগ্ন ডিওএইচএস মাঠে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা উদ্বোধন করেন যশোর সেনানিবাসের ডি.ও.এইচ. এস পরিষদের সভাপতি মেজর মো. গোলাম হায়দার (অব.)। এ সময় তিনি বলেন, ‘নতুন করে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হতে এই মেলা ভূমিকা রাখবে। বহুবছর এ ধরনের আয়োজন যশোরে হয়নি। যশোরবাসীর বাড়তি আনন্দ দিতে এবার তারা ব্যতিক্রমী এ মেলার আয়োজন করেছেন। তিনি আশাবাদী এ মেলা যশোরবাসীর মন কাড়বে।’
যশোর সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ. ডব্লিউ. এম রায়হান শাহ্র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডি.ও.এইচ.এস পরিষদের মেম্বার এডমিন লেফটেন্যান্ট শ্যামল কুমার রায় (অব.)। বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, মেসার্স নাওমী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু। পরে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বগুড়ার শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন।
যশোর সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এই মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন মেসার্স নাওমী এন্টারপ্রাইজ। শুরুতেই মেলার উদ্বোধনী দিনে বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ ও শিশুর সমাগম ঘটে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত দেশীয় পণ্যের সঙ্গে বাহারি পণ্যের ৬০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে দ্যা লায়ন সার্কাস। এছাড়াও রয়েছে মেলায় প্রবেশ টিকিটের উপর র্যাফেল ড্র। অর্থাৎ ২০ টাকা দিয়ে মেলায় প্রবেশ করে মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে প্রতিদিন আকর্ষণীয় বিভিন্ন সব পুরস্কার জিতে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়া মেলায় রয়েছে বিভিন্ন হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যের বিপুল সমাহার। রয়েছে বাচ্চাদের বিনোদনের সুব্যবস্থা। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে দেশের নামিদামি শিল্পিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধনের আগেই তরুণ তরুণীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। তারা পছন্দের কসমেটিক্স ও ঘর সাজাতে গৃহস্থলির জিনিসপত্র কিনছেন। শিশুদের স্লিপার, ম্যাজিক নৌকা, ট্রেন, টয়ট্রেন, চরকি, নাগোর দেলায় বিনোদন নিচ্ছে শিশুরা। মেলার মিডিল পয়েন্টে রয়েছে ড্যান্সিং ঝরনা। এছাড়া পুরো সেখানে সেলফি তোলায় ব্যস্ত রয়েছে বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা। সার্কাস প্যান্ডেলে প্রবেশ করে শিল্পিদের শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।
এদিকে, মেলার আসা দর্শনার্থীরা জানান, মেলা বেশ ভাল লেগেছে, বিশেষ করে মেলার গেইট ও ফুয়ারা অনেক বেশি সুন্দর। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিও তাদের ভালো লেগেছে। কয়েকজন নারী জানান, সাধারণত পরিকল্পনা করে ঘর সাঝাতে দ্রব্যাদি কেনা হয় না। কোন মেলায় গেলে এসব জিনিপত্র কেনা হয়। তাই সেই উদ্দেশ্যে মেলায় আসা হয়েছে। তবে মেলায় আসা অনেক জিনিস-পত্রই তাদের পছন্দ হয়েছে।
নওমী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ কবীর আহমেদ মিঠু বলেন, যশোরে এই প্রথম বড় আকারে সুসজ্জিত এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ৬০টি স্টল রাখা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে পার্কিং ও পুরো মেলা প্রাঙ্গন সিসি ক্যামেরার আওতায়। তিনি আরও বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বাড়তি বিনোদন দিতে প্রবেশ টিকিটের সাথে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেট টিকিটের র্যাফেল ড্র প্রতিদিন রাত দশটায় মেলা প্রাঙ্গনেই অনুষ্ঠিত হবে।