শ্যামনগর প্রতিনিধি
শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় এলাকার সুপেয় পানির ব্যাপক সংকট। বিভিন্ন বিত্তবান মানুষের পক্ষ থেকে বিশেষ করে আকিজ গ্রুপের পক্ষ থেকে শ্যামনগরের উপকূলীয় প্রত্যন্ত এলাকায় বর্ষার পানি সংরক্ষণের জন্য গণজলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সুন্দরবন উপকূলীয় দাতিনাখালি গ্রামে ৩৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ২০১৯ সালে আকিজ ট্র্রাস্টের অর্থায়নে বর্ষার পানি সংরক্ষণের একটি গণজলাধার তৈরি করা হয়। এখানে পানি নিতে আসা শেফালী খাতুন বলেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কলস নিয়ে আসতে হয় পানি নেয়ার জন্য। এতে কলসের যে লাইন পড়ে তাতে পানি নিয়ে বাড়ি যেতে অনেক দেরি হয়। সংসারের কাজের ক্ষতি হওয়ায় সংসারে অনেক অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বহু দূর থেকে পানি আনার জন্য নারীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি সরকারিভাবে এই এলাকার প্রতিটি পরিবারে বর্ষার পানি সংরক্ষণের জন্য একটি করে ট্যাংক প্রদানের দাবি জানান। লাভলী বেগম জানান, আকিজ গ্রুপের পক্ষ থেকে আরো একটি বর্ষার পানি সংরক্ষণের গণজলাধার তৈরি করে দিলে এই এলাকার মানুষের পানির চাহিদা দূর হতো। আব্দুল গফুর মোড়ল ও মহব্বত মোড়ল জানান, আমরা ৩ জন কোন মজুরি ছাড়া প্রচণ্ড রোদের মধ্যে মানুষের পানি সরবরাহ করে যাচ্ছি। এতে আকিজ গ্রুপের পক্ষ থেকে কোন মজুরি দেয়া হয় না।
পাশে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে কিছু মজুরি দেয়ার আশ^াস দিয়েছে। তারা আরো জানান, পাশে ৩৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংকি থেকে পাইপের মাধ্যমে আকিজ গ্রুপের টাংকিতে পানি আসে। উক্ত পাইপটি ফেটে গেছে যা এখনি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এ বিষয় উপজেলা পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলো তিনি বলেন আমি কোন তালিকা করিনি। তালিকা করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ ও এমপি মহোদয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়নে অনেক স্থানে সুপিয় পানির খুবই অভাব।
বর্ষার পানি সংরক্ষণের জন্য সরকারি ভাবে যে সমস্ত ট্যাংকি বরাদ্দ হয়েছে তাহা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আমি এ বিষয়ে এমপি মহোদয় কে আরো ট্যাংকি বরাদ্দের দাবি জানিয়েছি ।
সাতক্ষীরা ৪ আসনে সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন মুঠো ফোনে বলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ওই এলাকা থেকে যারা আমার কাছে দরখস্ত করেছে তাদের জন্য পানির ট্যাংক বরাদ্দ হয়েছে,পর্যায়ক্রমে সকলে পাবে।