বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কয়েকটি এসি বেশ কিছুদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার কারণে প্রতিদিন আন্তগমন ও বহির্গমন কয়েক হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রির মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এমনিতেই দুই দেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হয় পাসপোর্ট যাত্রিরা। তার উপর আবার তীব্র তাপদাহে যাত্রিদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের ভিতরের পাশে দেয়ালে লাইন ধরে লাগানো এসি গুলো অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসে লাগানো এসিগুলো কাজ করে না গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছেন। সেবা পাচ্ছেন না কানা কড়িও। বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছেন। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, তারা সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যান বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে কেউ বা যান ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যান। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী যাত্রিরা পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে। অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ঝিনাইদহ থেকে ভারত ভ্রমণে আসা জুয়েল রানা বলেন, ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েকঘন্টা ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানেও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানেও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেয়ালে এসি সাটানো থাকলেও অধিকাংশই অচল, কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে আমরা কি সেবা পাচ্ছি?
ঢাকার যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরি ভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভিতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। হিতে বিপরীত। এখানে আরো গরম। এসি থাকলেও সেগুলো চলে না। তবে তিনি মনে করেন কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেয়া উচিত।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আযহারুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যোগদানের পর থেকে দেখেছি এসিগুলো অধিকাংশই নষ্ট। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এগুলো দেখাশোনা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারাই ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন ধরে এসিগুলো নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হয় না।
বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এসিগুলো মেরামত করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।