নাহিদ হাসান, তালা:
বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগ ব্যাধি না হওয়ায় স্বপ্নের সোনালী ফসল পাকা ধান কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করছে। তাই তো শত কষ্টের মাঝেও এসব কৃষকদের মনে বইছে প্রশান্তির বাতাস। ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কালবৈশাখী ঝড় বা বৃষ্টি আঘাত হানার আগে ইরি-বোরো ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন তালার কৃষক-কৃষাণীরা।
কৃষকদের দাবি অন্যবারের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিলো না। প্রতি বিঘায় ব্র্রি-২৮ জাতের ধানের ফলন ২০ থেকে ২৩ মণ ও মোটা ধান ২৫ থেকে ২৮ মণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দু’একটি জমির ধান রোগ বালাইয়ের আক্রমণে নষ্ট হয়েছে।
উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের বোরো চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমের উৎপাদন বিঘা প্রতি গেল বছরের চেয়ে ৪ থেকে ৫ মণ বেশি হবে। প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা।
একই এলাকার রুবেল হোসেন নামে অপর এক চাষি জানান, নতুন ধানের বাজার দর ভাল। প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩শত টাকা মণ দরে। তবে অনেক চাষী বলেন দেরিতে লাগানো ধান নিয়ে ঝড় বৃষ্টির ভয়ে তারা রয়েছে দারুণ দুশ্চিন্তায়।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা বেগম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলায় কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছে। এখানকার কৃষকেরা এবার মোটামুটি লাভবান হবেন।
শিরোনাম:
- মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে দুই দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি
- পদ্মাসেতুর ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের দিন বিক্ষোভ করবে যশোরবাসী!
- যশোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট, পাঠদান ব্যাহত
- যশোর শহরের দড়াটানা ও ঢাকা ব্রিজ এলাকায় ভৈরব নদে ভয়াবহ পানি দূষণ
- যশোরে নাশকতা মামলায় ১২৫ নেতাকর্মী কারাগারে, আদালত চত্বরে স্লোগানে উত্তাল
- ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- মৌ হিজড়ার স্বর্ণালংকার ও মালামাল আত্মসাত, দায়ীদের শাস্তির দাবি
- গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেকে বসেছে শীত