স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলার ১২প্রার্থী একই প্রতীকের দাবিদার ছিলেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। অবশেষে লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করা হয়। পছন্দের প্রতীক পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রার্থী ও সমর্থকরা। সোমবার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
বাঘারপাড়া উপজেলায় আনারস প্রতীক চেয়ে আবেদন করেন ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে এফ.এম আশরাফুল কবির ওরফে বিপুল ফারাজি মোটরসাইকেল প্রতীক ও রাজীব কুমার রায় ঘোড়া প্রতীক চেয়ে নেন। বাকি ৪ জন প্রার্থী লটারিতে অংশগ্রহণ করেন। লটারিতে আনারস প্রতীক জিতে নেন মো. হাসান আলী। পরে মো. মাসুম রেজা হেলিকপ্টার, মো. সেলিম রেজা কাপÑপিরিচ ও মো. আব্দুর রউফ দোয়াত কলম প্রতীক পছন্দ করেন।
সদর উপজেলা পরিষদে চার প্রার্থীর প্রতীক চূড়ান্ত হয়েছে লটারিতে। মোটরসাইকেল প্রতীক চেয়ে আবেদন করেন মো.আনোয়ার হোসেন বিপুল ও তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। একই প্রতীকের জন্য দুইজন অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত লটারিতে চূড়ান্ত হয়। লটারিতে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু পছন্দের প্রতীক মোটরসাইকেল পান। আনোয়ার হোসেন বিপুল দোয়াত কলম প্রতীক পছন্দ করেন।
এদিকে ঘোড়া প্রতীক পাওয়ার জন্য আবেদন করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ ও ফতেমা আনোয়ার। শেষ পর্যন্ত দুজনের সমঝোতা না হওয়ায় লটারির সিদ্ধান্ত হয়। লটারিতে ফতেমা আনোয়ার পছন্দের ঘোড়া প্রতীক পান। লটারিতে হেরেও মোহিত কুমার নাথ শালিক পাখি পছন্দ করেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. গোলাম ছরোয়ার ও মো. জয়নাল আবেদীনের মধ্যে তালা প্রতীক নিয়ে লটারি করা হয়। লটারিতে সরোয়ার তালা ও জয়নাল আবেদীন টিয়াপাখি পাখি প্রতীক পান।
যশোর সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামাল খাঁন ও শেখ জাহিদুর রহমানের মধ্যে তালা প্রতীক নিয়ে লটারি করা হয়। লটারিতে কামাল খাঁন তালা প্রতীক লাভ করেন। অন্যদিকে শেখ জাহিদুর রহমান বিকল্প প্রতীক হিসেবে বৈদ্যুতিক বাল্ব পান।