বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্র নুর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশনের সদস্যরা (পিবিআই) সাইদুল ওরফে পচাকে আটক করেছে। নিহত নুর হোসেন শংকরপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ও আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র। আটক পচা শহরের শংকরপুরের মিলনের ছেলে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, তার নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র) স্নেহাশিস দাশ, এসআই (নিরস্ত্র) ডিএম নুর জামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ যশোর জেলার আভিযানিক দল সোমবার ১৩ মে সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার পূব ঝিলেরডাঙ্গা গ্রাম থেকে পচাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ১০ মে শুক্রবার শংকরপুর স্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নুর হোসেনের সাথে ধৃত পচাসহ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। পরবর্তীতে গত ১১ মে শনিবার রাতে ঝগড়া বিবাদের সূত্র ধরে ভিকটিম নুর হোসেনকে শংকরপুর কালেনার দোকানের সামনে একা পেয়ে আসামি পচাসহ অন্যান্য আসামিরা ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। নুর হোসেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আটক আসামি পচার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত (রক্ত মাখা) বারমিজ চাকু শংকরপুর এলাকায় তার খালা ববিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নুর হোসেনের মা আম্বিয়া খাতুন ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্হাত নামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় ১২ মে রোববার মামলা করেন। আসামিরা হলো শংকরপুর চোপদারপাড়ার রনি ওরফে কানা রনি (২৮) একই এলাকার রিয়াদ (২৫), সাইদুল ওরফে পচা (২২), বাধন (২৩), আশিক (২১), পাপ্পু (২৫), আলী আহম্মদ (২৬), মনিরুল (২১), আকাশ (২৫), সোহাগ (৩৬)। এদের মধ্যে পচা পুলিশের হাতে আটক হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।