বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মাত্র এক মাসেরও কম সময় বাকি পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের। এরই মধ্যে পশু কেনা-বেচা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন খামারি, ক্রেতা ও ব্যাপারীরা। কোরবানির ঈদের বাজারকে টার্গেট করে শেষ সময়ের পশু পরিচর্যায় ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা। সুস্থ-সবল পশু বাজারজাতকরণ ও খামারিদের নানা রকম পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।
যশোর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, চলতি বছর যশোর জেলায় মোট চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে পশুর সরবরাহ রয়েছে। জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের জরিপ অনুযায়ী গরু ছাগল এবং ভেড়া মিলে যশোরে মোট পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৬ হাজার ৭১৮টি। এ চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে ৩০ হাজার ১৩৩ টি পশু। যশোর জেলায় মোট খামারীদের গরুর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৭৮টি, ছাগলের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৩৬৫ টি এবং ভেড়ার পরিমান ৮০৮ টি অর্থ্যাৎ মোট পশু রয়েছে এক লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫১টি।
যশোর চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের গরু খামারি ঝন্টু বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কখনও ভিটামিন জাতীয় ওষুধ বা ভ্যক্সিন দেয় আবার কখনও বন্ধ দেয় না। তবে তিনি পশু মোটাজাত করনের জন্য কোন অসদুপায় অবল্বন করেন না। তার খামারে ১৪ টি গাভী, ১৪ টি ছাগল এবং কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা ২৫ টি গরু আছে। আসন্ন কোরবানীর বাজারে ভালো দাম পবো বলে আশাবাদী।
আরেক গরুর খামারি বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের শামীম রেজা বলেন,’আমার ৫১ টি গরু আছে যার প্রায় সবকয়টি বিক্রি উপযোগী। আশা করি এবার কোরবানীর পশুর হাটে ভালো দাম পাবো। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ, ভিটামিন ও ভ্যাক্সিন দিয়ে থাকেন। যা পশুর স্বাস্থের জন্য উপকারী।’
বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া গ্রামের আরকেজন খামারি টিপু সুলতান বলেন,’আমরা সাধারনত কৃষিলোন বা এনজিও থেকে লোন নিয়ে পশুর খাবার ও গরু লালন পালন করি। প্রানী সম্পদ অফিস খামারিদের প্রয়োজনীয় ঔষধ, ভিটামিন ও ভ্যাক্সিন দিয়ে সহায়তা করেন।’
যশোর জেলা প্রানিসম্পদ কমকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, এ বছর যশোরে কোরবানীর পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশী। খামারিরা এখন কোন অসদুপায় অবলম্বন করে না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সাথে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি। আমরা পশুদের সময়মত ভিটামিন ও ভ্যাক্সিন দিয়ে থাকি যাতে করে পশুদের সুস্বাস্থ গঠন হয়। তাছাড়া খামারীদের উপর প্রানী সম্পদের নজরদারি সবসময় থাকে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুরহাটে প্রানী সম্পদের ভেটোরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোন পশু অসুস্থ হয়ে গেলে যাতে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, বা কোন অসুস্থ পশু যেন কেউ হাটে ওঠাতে না পারে। যশোর জেলায় মোট প্রানী সম্পদের পশু চিকিৎসকের সংখ্যা ১৫ জন।’