বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে। এ কারণেই প্রার্থীরা আজ আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীদের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার যে সংস্কৃতি, সেটা আবারও ফিরে এসেছে।’ বৃহস্পতিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসি আহসান হাবিব খান। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিং করেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ এই সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সে দিকে ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বির্তক সমালোচনা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে।’
ইসি আহসান হাবিব আরও বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটারদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল চেষ্টা প্রতিহত করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, টোটাল নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এই কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এই অবস্থানে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
এর আগে বেলা ১১ টার দিকে এই মতবিনিময় শুরু হয়। যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।