বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংসকারীদের নামে ‘ঘৃণা চত্বর’ স্থাপনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নেতৃবৃন্দ। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল পুরাতন ভবন রক্ষার অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে কালেক্টরেট ভবন চত্বরে যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটি এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটুর সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের নেতা আসাদুজ্জামান পিল্টু, মুক্তশ্বরী নদী আন্দোলনের নেতা শাহাবুদ্দিন বাটুল, পৌর নাগরিক কমিটির ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব নাসির আহমেদ শেফার্ড, গ্রাম থিয়েটার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান হাফিজুর রহমান, বিপ্লবী যুবমৈত্রী কেন্দ্রীয় নেতা আহাদ আলী মুন্না, সাবেক ছাত্র নেতা পলাশ বিশ্বাস, সুজন দত্ত লাল্টু প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদসহ সকল পুরাতন ভবন রক্ষার সুস্পষ্ট ঘোষনা না আসা পযর্ন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে। আগামীতে দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলনের গতিপথ আরো বেগবান করা হবে। আর প্রয়োজনে যারা ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের জন্য ‘ঘৃণা চত্বর’ স্থাপন করা হবে। যশোরবাসী সেখানে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ ও সচিব অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু।