রাইসুল ইসলাম অপু
মাত্র চার বছর বয়স। এই বয়সে হয়তো কিছু শিশু চালানো শেখে সাইকেল, কেউবা আবার পারদর্শিতা দেখায় ভিডিও গেমসে। আর বর্তমান আধুনিকতার এ যুগে হয়তো পারদর্শী হয় মোবাইলে। কিন্তু চার বছর বয়সী এক শিশু চার চাকার গাড়ি চালিয়ে অবাক করে দিয়েছে গোটা এলাকাকে। রীতিমতো গাড়ির স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে সড়কে গাড়ি চালাচ্ছে সুমন।
যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত লতিফিয়া ফ্রি মডেল মাদরাসার ছাত্র সুমন। চার চাকার একটি গাড়ি চালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এলাকায়। রিতিমতো ঘোরাচ্ছে গাড়ির স্টিয়ারিং, বাজাচ্ছে হর্ণ। আবার কখনও ব্রেক চেপে দাঁড়াচ্ছে গন্তব্যে। সে একাই নয় মাঝে মাঝে মাদরাসার অন্য সহপাঠিদেরও সাথে নিয়ে ঘুরছে গ্রামের আকাবাকা পথে। পাঞ্জাবী পাজামা ও মাথায় টুপি পরে সাবলিলভাবে রাস্তা দিয়ে হেটে এসে চার বছর বয়সী এই শিশু গাড়ির চালকের আসনে বসে। এরপর গাড়ির সুইচ অন করে দক্ষ হাতে গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ায় গ্রামের মেঠো পথে। গাড়ি চালাতেও বেশ পটু এই শিশুটি।
সুমন বলে, মিজান কাকা একটি গাড়ি বানিয়েছে। গাড়িটি আমাদের মাদরাসার বড়রা চালায়। তাদের চালানো দেখে আমারও ইচ্ছা হতো আমি চালাবো। তারপর দুই-এক দিন চালানোর পরে এখন আমি একাই গাড়িটি চালাতে পারি। এই গাড়িটি চালাতে আমার ভাল লাগে।
লতিফিয়া ফ্রি মডেল মাদরাসা পরিচালক মিজানুর রহমান পেশায় একজন মটর মেকানিক, তিনি নিজ খরচে চালান মাদরাসাটি। যেখানে ফ্রিতে থাকে এতিম শিশুরা। তিনি নিজে পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ চালিত চার চাকার একটি গাড়ি তৈরি করেন। গাড়িতে রয়েছে ১২ ভোল্টের চারটে ব্যাটারি। চারটি চাকা ও মটর। এছাড়া গাড়ির সামনে রয়েছে দুটি লাইট, একটি হর্ণ।
মিজানুর রহমান বলেন, এতিম খানায় শিশুদের পড়াশুনার পাশাপাশি দেয়া হয় বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা। যাতে পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে শিশুরা।
তিনি আরো জানান, সামনে যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে তাতে এতিমখানার শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রাখবে।
আমার মাদরাসার শিশু সুমন মাত্র দুই মাসেই শিখে ফেলেছে গাড়ি চালানো।