স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
ঈদ সমাগত, বেড়েছে পোশাক বিক্রি। সেই সাথে সাথে বেড়েছে ফুটপাতের ‘কাটিং টু ফিটিং’ এর রমরমা ব্যবসা। ঈদে নামি দামি ব্রান্ডের নতুন পোশাকের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষদের শেষ ভরসা ফুটপাতের কম দামের নতুন ও পুরাতন পোশাক।
এই কম দামের পোশাক ক্রয় করে তা শরীরের মাপে ফিটিং করে নিতে ধর্ণা দিতে হয় ফুটপাতে বসা দর্জির কাছে। দর্জি যথারীতি ফিতা দিয়ে মেপে পোশাক ব্যবহার উপযোগী সাইজে পরিণত করে দেয়।
শুক্রবার যশোর শহরের টাউন হল মাঠ সংলগ্ন মুজিব সড়কের পাশে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ জন দর্জি ফুটপাতে বসে নতুন ও পুরাতন পোষাক ফিটিংয়ের কাজ করছেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া তাদের এই কর্মযজ্ঞ, চলে রাত ১০ টা অবধি। ঈদ উপলক্ষে তাদের কাজের চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা রোজগার করা সম্ভব হচ্ছে।
তবে পুলিশি ঝামেলায় ফুটপাতে সেলাই মেশিন নিয়ে বসা এই মানুষগুলো প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। পরপর দুই দিন তাদের সেলাই মেশিনের চাকা ঘোরেনি। ঈদে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে এই কাজে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তা করে যাচ্ছেন তারা।
কথা হয় ইসলাম নামে এক দর্জির সাথে। তিনি এখানে ৪০ বছর ধরে পোষাক কেটে ফিটিংয়ের কাজ করে আসছেন। এই কাজ করেই তার সংসার চলে। আগে ঈদের সময় কাজের খুব চাপ থাকত। এবারের ঈদে কাজের চাপ তুলনামূলক ভাবে কম হলেও মোটামুটি কাজ হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শরিফুল ইসলাম নামে আর একজন দর্জি বলেন, ঈদের সময় নতুন পোশাক ফিটিংয়ের কাজ বেশি আসে। পুরো ফিটিং করতে ২শ টাকা, জামাÑপ্যান্ট চাপানো ৫০ থেকে ৬০ টাকা নেয়া হয়। রোজার ঈদে কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে কুরবানি ঈদে যা কাজ হচ্ছে একেবারে খারাপ না।
পোষাক ফিটিংয়ের কাজ করাতে আসা আলী হুসাইন নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, ঈদে নতুন পোষাক কিনেছি। পোষাক ফিটিংয়ের জন্য মুজিব সড়কে টাউন হল মাঠের পাশে এখানে দর্জির কাছে এসেছি। দাঁড়িয়ে থেকে সিরিয়ালে কাজ করে নিতে হচ্ছে। ঈদের সময় একটু ভিড় বেশি দেখছি। অন্য সময় এমন ভিড় হয়না। এখানকার দর্জিরা কমের ভিতর কাজ মোটামুটি ভালো করে।