বাংলা ভোর প্রতিবেদক
যশোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভগ্নিপতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। হত্যাচেষ্টার শিকার মনিরুল ইসলাম মুন্না (৪৪) যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা। ঈদের দিন রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুন্নার স্ত্রী ফারজানা তানজাম তার ভাই ও ভাইপোসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন, ফারজানা তানজাম’র ভাই মাইকপট্টি নোভা হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা শেখ আশিক ইকবাল, তার দুই ছেলে শেখ সাকিব ইকবাল ও শেখ রাকিব ইকবাল, সিটি প্লাজা এলাকার বাসিন্দা মনজুর মোস্তফা খানের ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন।
এজাহারে জানা গেছে, পৈত্রিক জমাজমি ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে ফারজানা তানজামের সাথে তার ভাই শেখ আশিক ইকবালের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের সূত্র ধরে গত ১৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা এমএম কলেজ আসাদ গেটের সামনে মনিরুল ইসলাম মুন্নাকে পেয়ে বেধকড় মারপিট করে হত্যাচেষ্টা চালায়। এতে তার একটি দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর জখম হন। হামলাকারীরা তার স্বর্ণের চেইন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এর আগে ৮ মে এই আসামিরা বাদী ফারজানা তানজামের ছোট ভাই তৌফিক ইকবালের স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান ভাংচুর করে এবং দোকানের ক্যাশ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। মনিরুল ইসলাম মুন্নাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরদিন ফারজানা তানজাম যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার মামলার আসামি শেখ রাকিব ইকবালকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রণজিৎ সেন জানান, মামলার পর এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মামলার আসামি শেখ সাকিব ইকবালের বিরুদ্ধে এলাকায় বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে একাধিক ব্যক্তির উপর হামলা, মারপিটসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।