বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকূলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে ছেলে ও ছেলের বউয়ের নির্যাতনে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির পরিত্যাক্ত গোয়ালঘর থেকে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ দিল্লিশ্বর অধিকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। থানা পুলিশের এসআই অলোক কুমার রায় বলেন বলেন এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ শারীরিক ও মানসিকভাবে পুত্রবধূ অর্চনা ও তার মা লালমতি বাকচি কর্তৃক নানা রকম নির্যাতনের শিকার শিক্ষক দিল্লিশ্বর অধিকারী।
শিক্ষক দিল্লিশ^র অধিকারী নড়াইল জেলার বামনহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন। ছোট ছেলে অলোক অধিকারী এবং স্ত্রী অর্চনা বাকচি দুজনই উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের বোয়ালমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ভারতে বসবাসরত বড় ছেলে সোমনাথ অধিকারী মুঠফোনে গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাবাকে আমার ছোটভাই ও তার স্ত্রী অর্চনা বাকচি বছরের পর বছর ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের কারণে আজকে জীবন দিতে হলো বাবার। আমি আমার বাবার মৃত্যুর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাপস বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ছেলে দ্বীপক ও তার স্ত্রী অর্চনা ও তার মা লালমতি দিল্লিশ্বর কাকাকে মারধর করতো। আমরা স্থানীয়ভাবে সালিশ পর্যন্ত করেছি কিন্তুু কোন ফল হয়নি যার কারণে আজকে তার জীবনের ইতি টানতে হলো।