স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ জানার পরও দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কয়েক কোটি। আর এ বিপুল সংখ্যক ধূমপায়ীর দুর্বলতাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর ফঁড়িয়া সিন্ডিকেট করে তাদের পকেট ফাঁকা করার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবছর বাজেট আসলেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে ভোক্তার পকেট কাটা গেলেও রাষ্ট্রের কোন উপকার হয়না। আর একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই সিগারে কিনতে হয় ভোক্তাদের। এ নিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের ভিতরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
মঙ্গলবার যশোর শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দোকান ভেদে সিগারেটের দাম ভিন্ন। একই ব্রান্ডের সিগারেট দোকান ভেদে দুই থেকে আড়াই টাকা দামের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য সিগারেট পরিবেশক কোম্পানির ডিলাররা বলছেন নির্ধারিত দামের বাইরে সিগারেট বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এদিকে পাইকারি দোকানিরা বলছেন আগে গাড়ি থেকে কম দামে সিগারেট ছাড়লেও বর্তমানে প্যাকেটের দামেই কিনতে হচ্ছে। ছোট ছোট দোকানগুলোতে এই বাড়তি দামের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি দামেই সিগারেট কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির পরিবেশক মেসার্স আজিজুল ইসলাামের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নতুন বাজেটে সিগারেটের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিশ শলাকার ব্যানসন বিক্রি হচ্ছে ৩২৪ টাকা, গোল্ড লিফ ২৪০ টাকা, রয়েল ব্রান্ড ভেদে ১০৮ থেকে ১৭২ টাকা, ডার্বি ১০০ টাকা। প্যাকেটে নতুন মূল্য পেতে ৩ মাস সময় লাগতে পারে।
জেল রোডের মনির স্টোরের বাবু নামে এক দোকানি বলেন, কোম্পানির গাড়ি থেকে সিগারেট পাচ্ছি না। চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ করছে। প্যাকেটের রেটে দাম নিচ্ছে। যে কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শহরের মুজিব সড়কের চায়ের দোকানি আফজাল