স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ,
যশোরের সবজির বাজারে চোখ রাঙ্গাচ্ছে কাঁচা মরিচ। কয়েক দিনের ব্যবধানে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়েছে পেঁয়াজ। এদিকে বাজারে কাঁচা মালের সরবরাহ কম থাকার সাথে সাথে কমেছে ক্রেতা সমাগমও। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা মনে করছেন বাজারে সবজির সরবরাহ আরও কমতে পারে। কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে বাড়তি দামের আশায় কৃষকের উৎপাদিত সবজি বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাইকারি ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলে সরবরাহ করছে। যে কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মোকামে সবজি কম পাচ্ছে।
শুক্রবার(৫ জুলাই) শহরের বড় বাজার, রেল স্টেশন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নানান পদের সবজির আমদানি কম। সাথে সাথে বিকেলবেলা ক্রেতা সমাগমও নেয়। বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে সবজি কম পাওয়াতে তারা বেশি পরিমাণে পাইকারি সবজি ক্রয় করতে পারছেন না। সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছে। আবার গুড়ি গুড়ি বর্ষার কারণে কিনে রাখা কাঁচা সবজি পচে নষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে লাভের অংশের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২শত ৪০ থেকে ২শত ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১শত থেকে ১শত ২০ টাকা, রসুন ২শত থেকে ২শত ৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ৫শত থেকে ৬শত টাকা, শসা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা(পিস), মিষ্টি কুমড়ো ৩০ টাকা, কলা ৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৮০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কচুর লতি ২৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, উস্তে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা(পিস), পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ক্যাপসিকাম ২শত ৫০ থেকে ৭শত টাকা, বেগুন ১শত থেকে ১শত ২০ টাকা,পুইশাক ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংসের বাজার স্থির রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা, বয়লার মুরগি ১শত ৭০ থেকে ২শত ৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ২শত ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মুদি পণ্যের দাম স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
রেল স্টেশন কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, বৃষ্টির পর কাঁচা মাল পচে যাচ্ছে। বাজারে সবজির আমদানি কম। বেশি দামে মোকাম থেকে সবজি কিনে বাইরের এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আমরা মাল কম পাচ্ছি।
ইব্রাহিম নামে অপর এক ব্যবসায়ি বলেন, বাজারে সবজির অকাল পড়েছে। সবজি কম ক্রেতাও কম। কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম কমেও গেছে।
আক্তারুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কিছুটা নাগালে এসেছে। পেঁয়াজ, মরিচের দাম বাড়তি। মাংস, ডিম সপ্তাহে দুই দিন খাওয়া মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্টকর। কোনো রকম সবজি কিনে পেঁয়াজ, মরিচ, আলু কিনতে গেলে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো একটা সময় মাছ, মাংস, ডিমের কথা ভুলতে বসবে।