বাংলার ভোর প্রতিবেদক
টানা ৫৪ দিন যশোর কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি মাহমুদা খাতুন। হাসপাতালটির সপ্তম তলায় ৭০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি তিনি। ভর্তির ফরমে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন বকচর যশোর। সাথে থাকছেন দুই মেয়ে। গেল ১৬ মে তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করেন তার দুই কন্যা। এরপর থেকে দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালের কেবিনটিতে অবস্থান করছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন যে সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন সে সমস্যা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন। ছাড়পত্র দেয়া হলেও তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করছেন না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিরসনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যশোর সিভিল সার্জন অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি দল হাসপাতালটিতে যান।
কুইন্স হাসপাতালের আইটি অ্যাডমিন হাসান ইমান শিমুল বলেন, তারা একটি ফোঁড়া অপারেশনের জন্য আসেন। এ সময় তারা ওই কেবিনটি বুক করেন এবং সেই থেকে সেখানে থাকছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এমনকি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও তারা কেবিন খালি করেননি। এমনকি কেবিন ভাড়া ও হাসপাতাল ফার্মেসির বিলও পরিশোধন করেননি। এছাড়া তারা প্রতিনিয়ত হাসপাতালের সেবিকাদের সাথে অসদাচরণ করেন। সেই সাথে রোগীর দুই মেয়ে প্রায় প্রতিদিনই রাত ১০ টা থেকে সাড়ে দশটার দিকে কেবিন থেকে বেরিয়ে যান এবং গভীর রাতে ফেরেন।
এদিকে মাহমুদা খাতুনের বড় মেয়ে রাবেয়া বসরি ও ছোট মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা অভিযোগ করে বলেন, রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক বলেন, আমরা দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।