বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আহত হয়েছেন ৭ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল ঝিকরগাছার রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
সেখানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে। উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মর্তোজা এলাহী টিপু গ্রুপ এবং সাবিরা নাজমুল মুন্নি গ্রুপের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে মর্তুজা এলাহী টিপু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশে বসে ছাত্রদল এবং যুবদলের ছেলেদেরকে মধ্যে আসতে বলেন। এ অবস্থা দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভা দ্রুত শেষ করে দেন। এরপর উপজেলা পরিষদের চত্বরে উভয়পক্ষ জড়ো হতে থাকে।
একপর্যায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি এবং খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে শহরে বের হয়ে আসেন। মিছিলটি সোনালী ব্যাংকের সামনে আসলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মর্তুজা ইলাহী টিপুর উপস্থিতিতে ছাত্রদল যুবদলের ছেলেরা লাঠি সোটা নিয়ে মিছিলের উপর হামলা চালায়।
হামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি (৪৮), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম (৬৫), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সাত্তার (৭০), উপজেলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুন্নবী মুরাদ (৫৭), পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান হোসেন কাঁকন (৪৫), উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুসা মিন্টু (৪০) এবং কামাল হোসেন (৩৮)।
এ ঘটনায় সাবেরা নাজমুল মুন্নি জানান, মর্তুজা এলাহী টিপু, শহিদুল ইসলাম বুদো এবং শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মর্তোজা এলাহী টিপু বলেন -উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলাতে সভা চলাকালে মিন্টু ১৫-২০ জন নিয়ে প্রবেশ করলে, আমি নিষেধ করি। তখন সে আমাকে বোতল চেলে মারে এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। এ সময় সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনা জানাজানি হলে, কিছু নেতা-কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্ত্তজা এলাহী টিপু এটি একটি বিছিন্নঘটনা দাবি করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সভায় মিন্টু সিনিয়র নেতৃবৃন্দর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় কিছু ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার উপর চড়াও হয়। কোন অবস্থাতেই ঝিকরগাছাকে কেউ অশান্ত করতে পারবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।