বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ
নির্বাচন কবে? আভাস মিলল না
বাংলার ভোর ডেস্ক
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি উঠার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে সংলাপ হয়েছে, তাতে একেক দল একেক ধরনের দাবি তুললেও নির্বাচনের ‘সময় সীমা’ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। দলগুলোর পক্ষ থেকে বরং আগে সংস্কার করে পরে নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকার পতন আন্দোলনে হত্যার দ্রুত বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপনের দাবি উঠে এসেছে।
শনিবার বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এই সংলাপ। ছয়টি ইসলামী দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আলোচনা। দলগুলো হল: খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, নেজামে ইসলাম পার্টি ও হেফাজতে ইসলাম। এরপর চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ। পরে একে একে যায় জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, অলি আহমদের নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাসদ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট। দলগুলো তাদের দলীয় প্যাডে নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
‘যৌক্তিক সময়’
সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা আছে। তবে অন্তর্র্বতী সরকার কবে নির্বাচন করবে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিচ্ছে না। গত ২৪ অগাস্ট থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠছে, তবে জামায়াত মনে করে নির্বাচনের সময় ‘এখন নয়’। এ নিয়ে দুই দলের বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটেছে। তবে বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির যে প্রতিনিধি দল ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে সেখানে নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানানো হয়।
সংলাপ শেষ করে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পর্যায়ক্রমে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন।” দলগুলোর আলোচনাতেও নির্বাচনের সময়সীমার বদলে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক’ সময়’ নেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখার জন্য একমাত্র অস্ত্র হল একটা ফোরকাস্ট দিয়ে দেওয়া। এটা ছয় মাস পরেও হতে পারে, নয় মাস পরেও হতে পারে। সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। কিন্তু নির্বাচন তো হতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্যও ভালো, রাজনৈতিক দলের জন্যও ভালো, দেশের জন্যও ভালো।” সংস্কার করার আগে নির্বাচন কোনো অবস্থাতে বাঞ্ছনীয় নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা এটাই বলেছেন যে, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে প্রত্যেকটা বিষয়ে। আমি উত্তর দিকে গেলাম, আপনি দক্ষিণ দিকে গেলেনৃ তা হলে তো দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। সবাইকে একটা ঐক্যমতে আসতে হবে’।”
ছয় ইসলামী দলের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বলেন, “আমরা উনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছি যে, তিনি একটি যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলো করে অযথা যেন কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
“মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন যে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তারা কালবিলম্ব না করে নির্বাচনে যেতেই তারা আগ্রহী এবং সেই ধরনের তারা প্রস্তুতি এবং আয়োজন করছেন।” যৌক্তিক সময়টা কতদিনের- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যৌক্তিক সময়টি কত দিনের এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়নি, আমরা মেয়াদ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা করিনি।”
ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, “বিগত ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার প্রায় ১৬ বছর ধরে দলীয়করণ এবং ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এর যে ‘প্রহসনমূলক’ জাতীয় নির্বাচন এবং এই নির্বাচনগুলো উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যারা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছেন, যারা বিভিন্ন মিডিয়াসহ সর্বত্র ওই সরকারকে সহযোগিতা করেছে, সেটা অন্যায়। “একটা নির্ভরযোগ্য একটা কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই অন্যায়কারীদের চিহ্নিত করে তাদের ব্যবস্থা করার বিষয়টি আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি।” ‘যোগ্যদের’ দিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেওয়ার কথাও বলে ইসলামী আন্দোলন। “আমরা বলেছি, এই সব জায়গাগুলোতে একটা স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া হলে তখন আবার আগের সেই পরিবেশের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। সেজন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, পরিবেশ তৈরি করতে হবে আগে।” সংলাপ শেষে বের হয়ে এসে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, “অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। আমরা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। আলোচনা ভালো হয়েছে।’’ গণফোরামের পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি দেওয়ার কথা জানান তিনি।
আলোচনায় ৮৩ দফা প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানান এলডিপি প্রধান। ‘গণহত্যার’ অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতকে যদি ‘ছোট ছোট তুচ্ছ কারণের’ নিবন্ধন বাতিল করা যায়, আমাদের হাজার ছেলে-মেয়েদের হত্যা করার জন্য, ১৫ বছর কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে গুম করার জন্য তাদের (আওয়ামী লীগ) বাতিল হবে না? এটা বাতিল করা অত্যন্ত প্রয়োজন। না হলে আগামীতে স্বৈরাচারের জন্ম বাংলাদেশে হবে।” ২০২৪ সাল হচ্ছে নতুন নতুন ঘটনা ঘটেছে এবং আরও ঘটতে পারে বলেও মনে করেন অলি আহমেদ।
তিনি বলেন, “আমি আজকে বৈঠকে সাবধান করে দিয়েছি-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছি, ‘আপনি এখনও বিপদমুক্ত নন। এখনও যারা ষড়যন্ত্রকারী তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেৃ যারা হাসিনার ‘পদলেহী’ ছিল তারা এখনও চাকরিচ্যুত হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়নিৃ তাদেরকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করলে সমস্যার সমাধান হবে না.. তারা দেশের শত্রু-তাদের জেলে নিতে হবে।”
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের বলেন, “ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনা যেসব চুক্তি করেছেন সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে যেগুলো ‘দেশবিরোধী’, সেগুলো বাতিল করার কথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি।” দলের পক্ষ থেকে সংস্কারের ৭ দফা প্রস্তাবও দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে সরকার ব্যবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদের বেশি না থাকা এবং কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় প্রধান পদে না থাকা, নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার, প্রশাসনিক, আর্থিক, ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আনা দাবি ও পরামর্শ আছে। মামুনুল হক বলেন, “সংবিধানে আল্লাহর ওপরে অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের যে ধারাটি ছিল সেটা আবার যেন পুনর্বহাল করা হয়। সংবিধানে এজন্য সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছি। “দেশে নীতিমালা ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইসলামবিরোধী নীতি বা আইন যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা দাবি জানিয়েছি প্রধান উপদেষ্টার কাছে।”
আহমাদ আবদুল কাদের বলেন, “আলেম সমাজ, হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীসহ বিরোধী দলগুলোর যে মামলা শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে সেগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহারের একটা টাইমফ্রেমের কথা আমরা বলেছি।” মামুনুল হক বলেন, “হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালের বহু মামলা ও হতাহত রয়েছে। অনেকের সন্ধানও আমাদের কাছে নেই। আমরা সেই ব্যাপারেও সহযোগিতা চেয়েছি যেন আমাদের সকল শহীদ ও নিখোঁজ মানুষের বিষয়ে সুন্দর একটি প্রতিবেদন আমাদের কাছে আসতে পারে। “সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার প্রস্তাবও আমরা বলেছি।” হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন শতাধিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “সেই মামলাগুলো অতি দ্রুত নির্বাহী আদেশ এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি যেন দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থার কথা আমরা বলেছি। “আমরা এক মাসের একটা সময়সীমা উনার (প্রধান উপদেষ্টা) কাছে চেয়েছি যে, উনি এই সময়ের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন।”
বৈঠকে ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে দুর্গা পূজায় মন্দির ও মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা নেতাদেরকে বলেন, তারাও যেন সতর্ক থাকেন এবং কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে। এই দাবি তোলে ইসলামী আন্দোলন।
চরমোনাইয়ের পীর বলেন, ‘‘আমাদের ৫৩ বছরের বাংলাদেশে যে নির্বাচনি ব্যবস্থা আছে সেখানে কালো টাকার দৌরাত্ম্য এবং দলীয়করণ হয়, পেশিশক্তির মাধ্যমে আসলে মূলত যারা নাকি যোগ্য যাদের দেশের প্রতি প্রেম রয়েছে এই ধরনের ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় না।
“সংখ্যানুপাতে হারে নির্বাচনটা হতে হবে। সেখানে দল ও প্রতীক থাকবে, জনগণ ভোট দেবে এবং সেখানে যে যেই দল যেভাবে ভোট পাবে সেই অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি পার্লামেন্টে থাকবেন। এতে সব পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলো, এখানে আর কোনো বৈষম্যমূলক বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।”
দলের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন, স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই ‘গণহত্যার’ বিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে ব্যক্তি ও সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করাসহ ১৩ দফা দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর ৮ অগাস্ট অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
শিরোনাম:
- অভয়নগরে রবিউল হত্যা ওয়াহিদুলের রিমান্ড মঞ্জুর
- যশোর চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মিজান খান ও সম্পাদক সোহান নির্বাচিত
- কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআন ধরানো অনুষ্ঠান ও পরিচিত সভা
- জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণসভা
- সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা
- নড়াইলে জেলা আ. লীগ সভাপতি কারাগারে
- ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব যশোরের ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ
- ৭ বছর পর যশোর মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ ; নির্বাচন কবে? আভাস মিলল না
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে