বাংলার ভোর ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনা। সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
টবি ক্যাডম্যান ব্রিটিশ আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, প্রত্যর্পণ বিশেষজ্ঞ এবং লন্ডনভিত্তিক দ্য জেনোসাইড ৩৭ ল ফার্মের যুগ্ম প্রধান। ক্যাডম্যান ড. ইউনূসকে জানান, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে নির্বিচারে গুলি করেছে তা সরাসরি গণহত্যা। তার বিচারের জন্য দেশীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পরামর্শ দেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য এই মানবাধিকার আইনজীবী।
এসময় তিনি জুলাই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানান।
ক্যাডম্যান বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত সত্য, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার জন্য একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন পায় এবং বাংলাদেশের জনগণ যেটা গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করার সময় ব্রিটিশ আইনজীবী বলেন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যার্পণের জন্য একটি কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আমরা প্রস্তুত। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা তার প্রস্তাব শুনে প্রস্তাবগুলো লিখিত আকারে দাখিল করতে বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় যারা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পরিচালনা করেছেন তাদের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারের জন্য তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনা।