আশাশুনি সংবাদদাতা
আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নে মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে কাকবাসিয়া খেয়াঘাটের যাত্রীছাউনি ও ১০০ মিটার রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। খোলপেটুয়া নদীর অব্যাহত এ ভাঙন প্রতিরোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী খাজরা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জানান, ইউনিয়নের কাকবাসিয়া খেয়াঘাট, বিছট প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন প্রায় ৬০০ মিটার এলাকায় খোলপেটুয়া নদী ভাঙনে ও দক্ষিণ একসরা গ্রামের চাঁদবাড়িয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের প্রায় ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বুধবার সকালের ভাটা থেকে শুরু করে দুপুরের জোয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যবধানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কাকবসিয়া খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনি ও ১০০ মিটারের ইটের সোলিং রাস্তা। খেয়াঘাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ মেরামতে দ্রুত কাজ না করলে আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও খাজরা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর মধ্যে বিছট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। নদী শাসনের ব্যবস্থা না নিয়ে পিছিয়ে রিং বাঁধ দিতে দিতে স্কুলের প্রাচীর পর্যন্ত ভাঙন চলে এসেছে। স্কুল প্রতিষ্ঠান ও মাড়িয়ালা খেয়াঘাট সংলগ্ন ইটের সোলিং রাস্তা রক্ষা করতে হলে কংক্রিটের ব্লক ফেলে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।
এছাড়া দক্ষিণ একসরায় কপোতাক্ষ নদের চাঁদ বাড়িয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন মোশাররফ বাড়ি হতে ইসহাক সানার বাড়ি পর্যন্ত ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ডব্লিউ এফপি’র অর্থায়নে সুশীল এর তত্ত্বাবধানে এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হলেও স্থায়ী সমাধানে সরকারী বড় ধরনের বরাদ্দের প্রয়োজন। তাই আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া, বিছট ও দক্ষিণ একসরা গ্রামের নদী ভাঙনে টেঁকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ করা হবে।