বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদরের ঘুরুলিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশ হতে চিনাডাঙ্গা ও জয়রামপুর পর্যন্ত খাল পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ছোট বালিয়াডাঙ্গার কায়েতখালি বাঁওড়ের পাশে পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃত্রিম বাঁধ নিমার্ণের মাধ্যমে জলাকার সৃষ্টি করে এক শ্রেণির স্থানীয় প্রভাবশালী মানুষেরা দীর্ঘ বছর পাঁচবাড়িয়া, হাশিমপুর, বড় বালিয়াডাঙ্গা, ছোট বালিয়াডাঙ্গা, শাহপুর, আড়পাড়া, তালবাড়িয়া, কায়েতখালি ও চিনাডাঙ্গা গ্রামের মানুষের ফসলি জমি পানিবন্দি করে তাদের জিম্মি করে রেখেছিল। এই এলাকার একটি খাল পুঁজি করে কায়েতখালি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ১৭ বছর ভোগ দখল করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা।
খালের ভিতরে ২০টা পাটা দিয়ে খালের পানির স্বাভাবিক গতিপথ বাঁধাগ্রস্থ করেছে। যে কারণে স্থানীয় মানুষের ফসলের ক্ষেত যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তেমনি বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিতে গেছে।
মৎস্যজীবী সমিতি ৩৯ বিঘা জমি মাছ চাষের জন্য ব্যবহার করলেও এলাকার প্রায় ৪শ বিঘা জমির ফসল জল বেঁধে রাখার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা মৎস্যজীবী সমিতির নামে বাওড় চালু করলেও তারা মূলত দীর্ঘ বছর প্রকৃত চাষীদের বঞ্চিত করে আসছিলো। নদী ও খাল খনন করে এবং খালের কৃত্রিম বাঁধ আপসারণ করে স্থানীয় মানুষদের জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবিও করেন তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক শামিম রেজা অর্ণব, ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সেলিম, কোষ্যাধক্ষ মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাউছার আলী, সম্পাদক রেজা, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল জলিল, সচেতন নাগরিক সমাজের শরিফ মাহমুদ, মাহবুব আলম চঞ্চলসহ স্থানীয় অনেকেই।