সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্সি দখল, লুটপাট ও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের নিউমার্কেট মোড়স্থ আলবারাকা হোটেলের তৃতীয় তলায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে আসাদুর রহমান বলেন, আমি ভোমরাস্থল বন্দরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি আমি ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আ.লীগ নেতাকর্মীরা ভোমরা সিএণ্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লুৎফর রহমান মন্টুসহ কয়েকজন সিএণ্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয় অবৈধভাবে দখল করে লুটপাট চালাচ্ছে।
তারা ইচ্ছামত সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারণ, ভোটার তালিকা থেকে অবৈধভাবে অনেক ভোটারদের নাম বাতিলসহ অনিয়ম করে চলেছেন। অথচ হাবিবুর রহমান হাবিব নিজেই দীর্ঘদিন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন না।
এমনকি কমিটিতে নাম রাখার জন্য লাখ টাকা দাবি করে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু দাবি মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় পরবর্তী এক চিঠিতে আমার নামের পরিবর্তে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের নাম সংযুক্ত করেন। অথচ এই মাকছুদ খান সিএন্ডএফ এর সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি বলেন, হাবিবের দাবি মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় ওই কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েই শুধু ক্ষ্যান্ত হননি। আমাকে ভোটার তালিকা থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে লোক ভাড়া করে মানববন্ধন করাসহ বিএনপি নেতা হাবিবের ইন্ধনে লুৎফর রহমান মন্টুর নেতৃত্বে ভোমরা ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন দখল করে লুটপাট চালানোর অভিযোগও তোলেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সময় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দখল ও লুটপাটের সাথে জড়িত হাবিবসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন আসাদুর রহমান।