স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
সার্ভার জটিলতায় অনলাইনে জমির নামজারি, খাজনাসহ নানা কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নিতে আসা মানুষ। ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসে ধর্না দিয়েও ভোগান্তির অবসান হচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত ফি ও খাজনা জমা দিতে না পেরে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এ ভোগান্তির চিত্র জানা গেছে।
সদর উপজেলা ভূমি অফিসে অনলাইনে জমির খাজনা দিতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। দায়িত্বরত কর্মচারিরা তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেক সময় অনলাইনের সার্ভার জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে ঢুকতে পারছেন না। ফলে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকে একদিনে খাজনা দিতে পারছেন না। ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। একাধিক দিন ঘুরে খাজনা দিতে হচ্ছে তাদেরকে।
এ বিষয়ে যশোর পৌর ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে সার্ভার জটিলতার কারণে মাঝে মাঝে কাজের ভোগান্তি হচ্ছে। আমাদের কাজ শুধু সার্ভারে এন্টি করে অনুমোদন দেয়া। যার খাজনার টাকা সে নিজে নিজে বা বাইরের কম্পিউটারের দোকান থেকে দিতে পারবে। সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ৪ জনের কাজ করতে পেরেছি। সার্ভারের সমস্যার কারণে কারো কাজ না হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি আমরা রেখে দিচ্ছি। যখন সার্ভার কাজ হচ্ছে আমরা সেটা অনুমোদন দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এখানে নামজারি করে আসার পর আমরা ৬ জন অনুমোদনের কাজ করছি। একবার অনুমোদন হয়ে গেলে আর কখনও আসা লাগবে না।
জমির খাজনা দিতে আসা ঘোপ নওয়াপাড়া এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভূমি অফিসে এসে দাগ ও মৌজার নাম দিয়ে অনলাইন করেছি। এখন বিকাশের দোকান থেকে টাকা দিলে কাজ শেষ হবে। নতুন নিয়মে কাজ করতে হচ্ছে। তেমন বুঝতে পারছি না বলে একটু সমস্যা হচ্ছে।
বগচর এলাকার ফারুক হোসেন মিলন বলেন, অফিসে এসে অনলাইন অনুমোদন নিতে হলো। প্রায় আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর কাজ হলো। মাঝে মাঝে নাকি সার্ভার চলে যাচ্ছে। শুনেছি লোকজনের ভোগান্তি হচ্ছে। বেশি লোক না থাকাতে আমার কাজ দ্রুত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের দপ্তরে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।