বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৫৭৪টি কলেজের মধ্যে এবার ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে। একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতবছর (২০২৩ সালের পরীক্ষা) শতভাগ পাস করেছিল ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২২ সালের পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছিল ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬ এবং ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৭৫।
আর ২০২৩ সালে ৭টি প্রতিষ্ঠান শূন্যভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়েছিল। ২০২২ সালে ৬টি প্রতিষ্ঠান শূন্যভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়লে তার আগের দু’বছরে শূন্যভাগ পাসের হারের লজ্জাজনক রেকর্ড ছিল না কোনো প্রতিষ্ঠানের।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে শতভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়েছে, যশোরের চৌগাছার এসএম হাবিবুর রহমান পৌর কলেজ (১২৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ), খুলনা সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল (৬১ জন শিক্ষার্থী), খালিশপুরের নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৫৯ জন শিক্ষার্থী), ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ (৪৭ শিক্ষার্থী), যশোরের চৌগাছার মাড়ুয়া ইউসুপ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৩২ জন শিক্ষার্থী), কুষ্টিয়া সদরের সানআপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৪ শিক্ষার্থী), যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল (৯ জন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (৩ জন পরীক্ষার্থী), যশোরের কেশবপুরের টিটা বাজিতপুর এমকেবি মহিলা কলেজ (৩ জন শিক্ষার্থী), যশোরের চৌগাছার হাকিমপুর মহিলা কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী), খুলনার কয়ড়ার হাদ্দা পাবলিক কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী), নড়াইল সদরের গোবরা মহিলা কলেজ (১ জন) ও সাতক্ষীরা সদরের গোবরদাড়ী জোড়দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১ জন পরীক্ষার্থী)। এই তেরটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গতবারও শতভাগ পাস করেছিল, খুলনার সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল (৫৭ শিক্ষার্থী) ও খুলনার খালিশপুরের নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪২ শিক্ষার্থী)। আর গতবছর শতভাগ ফেলের তালিকায় থাকা নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা মহিলা কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী) ও গোবরদাড়ি জোরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী) এবার শতভাগ পাসের তালিকায় রয়েছে।
অপরদিকে, শতভাগ ফেলের তালিকায় থাকা ৭টি কলেজ হলো: মেহেরপুরের গাংনীর মড়কা জাগরণ কলেজ (৩ জন পরীক্ষার্থী), খুলনা ডুমুরিয়ার মডেল মহিলা কলেজ (১ জন পরীক্ষার্থী), তেরখাদার শাপলা কলেজ (১ জন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ (৩জন পরীক্ষার্থী), মাগুরার মহম্মদপুরের গোপীনাথপুর এমএ খালেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৬ জন পরীক্ষার্থী), যশোরের মণিরামপুরের নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৩ জন পরীক্ষার্থী) ও ঝিনাইদহের নাজির উদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ (১ জন পরীক্ষার্থী)। এই সাতটি কলেজের মধ্যে খুলনার তেরখাদার শাপলা কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী) গতবারও শতভাগ ফেলের তালিকায় ছিল।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৫৭৪টি কলেজের মধ্যে এবার ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে।
একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, ফলাফলের জন্য শূন্যভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানকে সর্তক ও শো’কজ নোটিশ পাঠানো হবে। একই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।