শ্যামনগর সংবাদদাতা
‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়কপথে সুন্দরবন ভ্রমণ’। অথচ সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জ হয়ে শ্যামনগর বংশীপুর ভেটখালী মহাসড়কের বেহালদশায় সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরার ৪ টি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। সড়কটিতে দ্রুত কাজ হলে সড়কপথে পর্যটকরা অল্প সময়ের মধ্যে ভেটখালী কলবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জে পৌঁছে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে। এছাড়া সাতক্ষীরা হতে মাছ রপ্তানি করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পাবে।
এ সড়কে রয়েছে কলবাড়ি ও মুন্সীগঞ্জে আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম ইকোপার্ক, সুশিলনের টাইগার পয়েন্ট, বরসার রিসোর্স সেন্টার ও আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম ইকো পার্ক। নীলডুমুরে রয়েছে বিজিবির হেডকোয়ার্টার, বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস, নৌ থানা ও টুরিস্ট পুলিশ ফাঁড়ি। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কারণে রাস্তাটি খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাফিউজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে কালিগঞ্জ হয়ে ভেটখালী পর্যন্ত ২০২৩ সালে একনেক কতৃক সিভিল ওয়ার্কে পাশ হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সি এস (তুলনামূলক বিবরণী) পাশ না হলে ঠিকাদাররা কাজ পারবেন না। বর্তমানের এ সড়কটি প্রস্থ ১৮ ফুট। বর্তমান টেণ্ডারে সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত প্রস্থ ১০.৩ মিটার অর্থাৎ ৩৩.৫০ ফুট ও কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত প্রস্থ ৭.৩ মিটার অর্থাৎ ২৪ ফুট চওড়া হবে। তিনি আরো জানান, এ সড়কটি ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ কাজ হয়েছিল। দীর্ঘ ২৬ বছর কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। ফলে সড়কটি বেশি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে সড়কটির সংস্কার।