বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পৌরসভার রাস্তা দখলের পর এবার বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই ‘রাস্তার জমিতে’ প্রাচীর নির্মাণ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা রাস্তার দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে যশোর পৌর প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
অভিযোগ মতে, শহরের খড়কি তিন রাস্তার মোড় থেকে উত্তর দিকে পৌরসভার মুন্সি বাড়ির গলির রাস্তা জবরদখল করে রাখেন ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কবির আলম ও তার ভাই খাইরুল আলম। রাস্তার ২৪ ফুট অংশে প্রায় ১২ ফুট এবং ১৮ ফুটের অংশে অন্তত ৮ ফুট দখল করে রাখেন তারা। স্থানীয়রা এর আগে কয়েকবার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের দখলের বিষয়টি জানালেও আওয়ামী লীগ নেতা কবিরের ক্ষমতার জোরে তা দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি টিনের বেড়া দিয়ে তা দখল করে রাখেন এবং একাংশে বাড়ি নির্মাণ করেন। সম্প্রতি সেখানকার ৪.১৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন ডাক্তার আফসার আলীর কাছে। জমি কেনার পর ওই চিকিৎসক ইটের পাচিল দেয়ার কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নজরে এলে সেখানকার একটা অংশ রাস্তার জমি দাবি করে পাচিল না দিতে অনুরোধ করেন। এতে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী রাস্তার জায়গা উদ্ধারের আবেদন করেন পৌর প্রশাসকের কাছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে যান যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ।
জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ বলেন, ম্যাপে যে রাস্তা রয়েছে তা বাস্তবে নেই। এটা নিয়ে মূলত ঝামেলা। এর আগেই দুইবার এ নিয়ে বসাবসি করেও নিষ্পত্তি করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ঝামেলাপূর্ণ জমি সর্বশেষ ডাক্তার আফসার আলী কিনেছেন। তিনি কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী এটা নিয়ে আপত্তি করেন। তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। দ্রুত উভয় পক্ষকে ডেকে মাপজোক করা হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন পৌর প্রশাসক।
জমি ক্রেতা শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আফসার আলী বলেন, সম্প্রতি আমি ৪.১৩ শতক জমি সিএস ম্যাপ দেখে কিনেছি। এই জমির মূল মালিক কবির। কবিরের কাছ থেকে আমার খালাতো ভাই সিরাজ কেনেন। আমি সিরাজের কাছ থেকে কিনেছি। আমার কেনা জমির পাশ দিয়ে রাস্তাটি গেছে। রাস্তার পাশে আগে থেকে ঘরবাড়ি রয়েছে। সেই সোজা আমি পাচিলের কাজ করছিলাম। কিন্তু রাস্তার জমি দাবি করে বাধা দেয়া হয়। আমি কারো জমিতে যেতে চাই না। নিজের অংশটুকু বুঝে পেলেই সন্তুষ্ট।
সরকারি জমি দখল করে বিক্রির বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা কবির আলমকে (০১৭১৭-৭২৬০৮৮) কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।