বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কবি ও কথাসাহিত্যিক শাহরিয়ার সোহেলের সম্পাদনায় প্রকাশিত এবং ‘পথিক সাহিত্য পরিষদ’এর মুখপত্র সাহিত্য পত্রিকা ‘পথিক’ এর ৩৫তম সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ভাস্কর্য চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কবি গোলাম মোস্তফা মুন্নার সভাপতিত্বে ও শাহরিয়ার সোহেল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি এমএ কাসেম অমিয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি রকি মাহমুদ, এমএনএস তুর্কি, শরিফুল আলম ও কাজী নূর।
‘পথিক’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ কাসেম অমিয় বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে যশোরের মাটি উর্বর। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন সহ অনেক গুণী কবি সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে এ মাটিতে। এছাড়া যশোরের প্রকৃতিতে সাহিত্যের অনেক উপাদান ও রস রয়েছে। যা সাহিত্য চর্চায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাকৃতিক এসব সম্পদকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এর বাইরেও ভালো লিখতে হলে আমাকে পড়তে হবে, জানতে হবে। কারন ভালো না জানলে তো ভালো লিখতে পারব না। তাই জ্ঞান অর্জন করতে অন্যের বই আমাকে পড়তে হবে। বই পড়ার বিকল্প নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রকি মাহমুদ বলেন, ‘কেউ আপনার লেখা পাঠ করবে, ভালো হয়েছে বলবে। আবার কেউ কেউ সমালোচনা করবে। এজন্য দমে গেলে চলবে না। সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরী রাখতে হবে। নিয়মিত লিখে যেতে হবে। একদিন সফলতা আসবেই।’
বিশিষ্ট কবি ও গবেষক রবিউল হাসনাত সজল তার বক্তব্যে বলেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শামসুর রাহমান, মানিক বন্দোপাধ্যায় থেকে সৈয়দ হক, সবাই বই পড়েছেন। পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে একজন লেখকের চিন্তা ও মননের জগৎ প্রসারিত হয়, রঙিন হয় তার স্বপ্নগুলো। তাই আমরা যারা লেখক হতে চাই তাদের অবশ্যই বই পড়তে হবে। বই না পড়ে ভালো লেখক হওয়া যায় না বলে আমি মনে করি।’ ‘পথিক’ প্রকাশনা উৎসবে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি ও গবেষক রবিউল হাসনাত সজল, কবি কাজী নূর, রেজাউল করিম রোমেল, শরীফ হোসেন ধীমান, সীমান্ত বসু প্রমুখ।