কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে আটক করা হয়।
রাজু আহমেদ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার ৭৩নং এজাহারভুক্ত আসামি।
তবে পুলিশ বলছে, মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম ভুল করে রাজু আহমেদের নাম দিয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিল নিয়ে শহরের থানা রোডস্থ বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বাদী হয়ে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ৭৩ নং এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদ। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের অনেকে কারাগারে আছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার এসআই চয়নের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ২০/২৫ জন যুবক থানায় গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে আনে। তবে এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা।
মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজু আহমেদ গত ৫ আগস্টের আগে পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলের সাথে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। এছাড়াও নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতি করছেন। সে বিএনপির দলীয় অফিস পোড়ানোর সাথে জড়িত। তার নাম জেনে-শুনেই দেয়া হয়েছে। পুলিশ যা বলছে সেটি বানোয়াট ও মিথ্যা।
ঝিনাইদহ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত কোন আসামিকে আটকের পর পুলিশ ছেড়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর জিআর মামলা রেকর্ড হওয়ার পর এটির বাদী হয়ে যায় রাষ্ট্র আর অভিযোগকারী হয়ে যান সাক্ষী মাত্র। একমাত্র আদালত তাকে জামিনের মাধ্যমে ছাড়তে পারে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, মামলার বাদী বলেছে রাজু আহমেদের নাম ভুল করে দেয়া হয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি। কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি। আটকের পর আপনি ছেড়ে দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।