বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাজারে সবজির দামে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। স্বস্তির বাজার এর নামে সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে সবজি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের এ কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলেছে। সাশ্রয়ী দামে সবজি কিনতে স্বস্তির বাজার এ ভিড় করছে মানুষ। রোববার থেকে শহরের ঢাকা রোড বিসিএমসি কলেজের পাশে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির এই কার্যক্রম শুরু করেন। জোসনা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের চেয়ে সব সবজির দাম কম এখানে। আন্দোলনের পর কয়েকদিন সিন্ডিকেট না থাকায় বাজার সহনীয় ছিল। এখন আবার সব কিছুর দাম বেশি। এ কার্যক্রম চলমান রাখলে আমাদের উপকার হবে।
গণধিকার পরিষদের স্বস্তির বাজরে সোমবার ন্যায্য মূল্যের দোকানে ৮ ধরনের সবজি মিলছে। স্থানীয় বাজার থেকে এই দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন তারা। কাঁচামরিচ তাদের দোকানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি করলেও বাজারে ৮০-১২০ টাকা কেজি। লাল শাক ৮ টাকা আটি, পুইশাক ২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০টাকা কেজি, শিম ৫০ টাকা, মুলো ২০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়ো ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
যশোরের স্বস্তির বাজার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহভুমি, ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক এবিএম আশিকুর রহমান।
এ বিষয়ে এবিএম আশিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে উচ্চমূল্যে শাক-সবজি বিক্রি করে সিণ্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা ফায়দা লুটছে। আমাদের ন্যায্যমূল্যে সবজির বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এমন উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে সিণ্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।