বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটুসহ আটজনের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলা হয়েছে। অপহরণ ও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মুজিবার রহমান নামে এক ব্যক্তি এ মামলাটি করেছেন। তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত মহর আলী শেখের ছেলে। বর্তমানে যশোর উপশহরের বসবাস করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি যশোর জোনের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, যশোর উপশহর এ-ব্লকের মৃত এতিম উন হকের ছেলে ইউপি মেম্বার জসিম উদ্দিন, সি-ব্লকের মোহাম্মদ খলিল ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন মিনু, মৃত মঞ্জুরুলের ছেলে সৈয়দ মুনসুর আলম, ১ নম্বর সেক্টরের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শাহিন, মৃত মশিয়ার ড্রাইভারের ছেলে সজল ও একই এলাকার অনিক।
মুজিবার রহমান মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামি রাবেয়া খাতুন মিনু তার পূর্ব পরিচিত। দুইজনের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। এ কারণে তারা উভয়ের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হলে মুজিবার রহমানকে ক্ষতি করার জন্য চক্রান্ত করতে থাকেন মিনু। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবার রহমান নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রাবেয়া খাতুন মিনুর বাড়ির সামনে যান। এ সময় আসামি রাবেয়া খাতুন মিনুর ইন্ধনে অপর আসামিরা মুজিবার রহমানকে সেখান থেকে অপহরণ করেন। আসামিরা বাদীকে মোহাম্মদ খলিল ও রাবেয়া খাতুন মিনুর বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। এরপর আসামি সৈয়দ মুনসুর আলম ও এহসানুর রহমান লিটু তার মুখের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ধরে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। টাকা না দেয়ায় তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে বাধ্য হন। টাকা পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় সেসময় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।