নিজস্ব প্রতিবেদক, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় নদী খননের মাটি চুরি করে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে, এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহকালে ডুমুরিয়ার এক সাংবাদিককে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে ইটভাটার মালিক।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে লোকসমাজের ডুমুরিয়া সংবাদদাতা এম রুহুল আমীন ডুমুরিয়া থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে উল্লেখিত তথ্য ও রুহুল আমীনের ২ সহকর্মী সূত্রে জানা যায়, শালতা নদীর খননকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্যে রাখা মাটি গত কয়েকদিন ধরে ট্রলিতে ভরে রঞ্জন সরদারের মালিকানাধীন ভাই ভাই ব্রিকস্ এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৈনিক দিনকাল ও লোকসমাজের ডুমুরিয়া সংবাদদাতা এম রুহুল আমীন, গাজী আব্দুল কুদ্দুস, গৌতম রাহা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা সেখানে ৫টি ট্রলি দেখতে পান, ট্রলি চালক যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর এলাকার মো. মনিরুজ্জামান ও কেশবপুরের বায়শা এলাকার মনিরুল ইসলাম জানান ভাই ভাই ব্রিকস্ মালিক রঞ্জন সরদার তাদের নিয়ে এসেছেন।
সাংবাদিক রুহুল আমীন রঞ্জন সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৯৭৩-৯০১৩৭০) এ কল করে মাটি নেয়ার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি থাক বা না থাক তাতে আপনার কি? এরপর রুহুল আমীনকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মোবাইল ফোনটি আরেকজনের কাছে দিয়ে দেন। সেই ব্যাক্তি নিজেকে বিউটি ব্রিকস্ মালিক স্বপন সরদার পরিচয় দিয়ে রুহুল আমীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ করবে তো? ওসব আমরা থোড়াই কেয়ার করি, তোমরা তোমাদের ক্ষমতায় যা পার তাই কর। কাগজে আগে সংবাদ আসুক তারপর সংবাদ লেখার সাধ মিটিয়ে দেব, এরপর রুহুল আমীনকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে স্বপন সরদার ফোন কলটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে রুহুল আমীন বুধবার দুপুরে ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন যার নং-১৬, তারিখঃ ০১/০১/২০২৫।
মাটি কাটার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আল আমীন বলেন, সরকারি মাটি কেটে নেয়ার অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আগামীকাল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।