শেখ জালাল
যশোর জেলা যুবদলের নতুন কমিটি আসছে। নতুন কমিটি ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। বিগত দিনে দল গোছানো ও আন্দোলনে সংগ্রামে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকায় পুরাতন নেতৃত্বেই আস্থা রাখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সেই সমীকরণে বর্তমান সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জুন এম তমাল আহমেদ সভাপতি ও আনছারুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদল যশোরে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ২০২০ সালে ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ আগের কমিটি গঠিত হয়ে ছিল ২০০৪ সালে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে গঠিত কমিটি সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রম করছে। শিগগিরই নতুন কমিটি গঠন হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছে। কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে, সেই বিষয়ে চলছে নানা আলোচনা।
যুবদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, অনেকে বসন্তের কোকিলের মত দলে এসে দলের পদ-পদবী ভাঙ্গিয়ে কামিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু দলের যখন দুর্দিন তাদের পাওয়া যায়নি। কিন্তু তমাল-রানা দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন। নতুন নের্তৃত্বের দৌড়ঝাঁপ কমবেশি দেখা গেলেও সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেশ তারা আবার নির্বাচিত হবেন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মীর অভিমত।
যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ বলেন, বর্তমান কমিটি দুর্দিনে সংগ্রাম-আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে। দীর্ঘ বন্ধু পথযাত্রায় থেকেছে একাট্টা। এ কারণে আগামীর নতুন কমিটিতে এসব ত্যাগি নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে বলেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোর যুবদলের একাধিক সাবেক নেতা জানান, মামলা ও হামলার ভয়ে ওই কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। ওই কমিটির কেউ কেউ দীর্ঘদিন শুধুমাত্র মসজিদকেন্দ্রিক দোয়া ও মাহফিলে সীমাবদ্ধ ছিলেন।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, যশোর জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। উপজেলাগুলোতে আহবায়ক কমিটি রয়েছে। বিগত দিনে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। মামলা-হামলার ভয়ে কখনও ঘরে বসে থাকিনি। আন্দোলনে সংগ্রামে সার্বক্ষণিক মাঠে ময়দানে মিছিল মিটিং করেছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রেখেছিল। তাদের ভালবাসা পেয়েছি। দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি।
জেলা যুবদলের সভাপতি সভাপতি তমাল আহমেদ বলেন, গত ১৭ বছর দেশের কী অবস্থা আপনারা জানেন। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকলেও আমরা যুবসমাজকে বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল না। তবে আমরা বিভিন্ন দুর্যোগে ত্রাণ দিয়েছি সমাজের অসহায় মানুষের পাশি দাঁড়িয়েছি।
তিনি জানান দ্রুত যশোর যুবদলের নতুন কমিটি হবে। ত্যাগী, দলের দুঃসময়ে কারা নির্যাতিত তাদেরকে প্রধান্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। তবে বিগত দিনে দল গোছানে ও আন্দোলনে সংগ্রামে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলাম।