মহেশপুর সংবাদদাতা
মহেশপুরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মহিলা কর্মীদের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে জামায়াত কর্মী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে দুপুরে ডাকবাংলার হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা খাতুন বলেন, কুল্লোপাড়ায় জামায়াত ইসলামীর কয়েক’শ মহিলা কর্মী নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছিলাম। হঠাৎ করে ঝুমুর আলী, আল-আমিন সাহেব আলী, সোহেল রানা ও আশরাফুল ইসলামসহ ১৫-২০ জন বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাতুড়ি, কাচি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে আলোচনা সভায় অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় উপস্থিত অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। ঝুমুর বাঁশের লাঠি দিয়ে সালেহা খাতুনের পায়ে আঘাত করে। আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে রাস্তার উপর নিয়ে আসে এবং আমার বাম কানে জোরে দুটি চড় মারে। আমার শরীরে থাকা ওড়না টান দিয়ে কেঁড়ে নিয়ে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় মহিলা কর্মীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে।
উপজেলা জামায়াতের আমির ফারুক হোসেন বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর আমরা বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির কতিপয় নেতা আমাদের মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এমন নেতাকর্মীদের বিএনপি থেকে বহিস্কারের আবেদন জানাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল হাই, মহেশপুর পৌর আমির ইসমাইল হোসেন পলাশ, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আমির জুলফিক্কার আলী।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই হামলার সাথে বিএনপির কোন সংপৃক্ততা নেই। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিএনপির কারো আলোচনা সভায় হামলার নির্দেশ দেয় না।