বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কবিতা আসমানি কিতাবের মতো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত দান। যা কবির ভেতরে অকৃত্রিমভাবে আসে এবং কলমের মাধ্যমে তিনি তা প্রকাশ করেন। কবিতা উপলব্ধি করার বিষয়। কবিতা হচ্ছে কবির সুগভীর ভাবনার উত্তম ফসল। এজন্য কবিতার কাছে আমাদের বারবার ফিরে আসা। কবিতা মানুষের মনের দরজা খুলে দিতে পারে। মনুষ্যত্ব সৃষ্টি করতে পারে। সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে। রাজনীতি পরিবর্তন করতে পারে। কবিতা মানুষকে মানবিক হতেও শিক্ষা দেয়। তাই আমাদের বেশি করে কবিতা পড়তে হবে। বেশি করে কবিতা অনুধাবন করতে হবে।
বুধবার সকাল ১০টায় যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ- বিএসপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিএসপির সভাপতি কবি আহমদ রাজুর সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর সরকারি এম এম (মাইকেল মধুসূদন কলেজ) কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মুকুল হায়দার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবন্ধকার কে. এম বদিয়ার রহমান ও সৈয়দ ইমদাদুল হক।
বিএসপির সহসাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক রবিউল হাসনাত সজলের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি অধ্যক্ষ ড. শাহনাজ পারভীন, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, শেখ মফিজুল ইসলাম, মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম।
কবিতা পাঠ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি আমির হোসেন মিলন, রবিউল হাসান, শরিফুল আলম, কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, অ্যাড. মাহমুদা খানম, ভদ্রাবতী বিশ্বাস, আবুল হাসান তুহিন, সীমান্ত বসু, অরুন বর্মণ, এমএ কাসেম অমিয়, সানজিদা ফেরদৌস, আমিনুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসপির সাধারণ সম্পাদক কবি গোলাম মোস্তফা মুন্না।