বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে খোলা বাজারে চাল ও আটা (ওএমএস) বিক্রির জন্য ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের আয়োজনে এই নিয়োগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। তবে, ৩ টি কেন্দ্রে উপস্থিতিদের আপত্তির মুখে ডিলার নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান এর সঞ্চালনায় লটারি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক সেলিমুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোট ১২টি ডিলার পয়েন্টের মধ্যে লটারির মাধ্যমে কয়েকটি ওয়ার্ডে নতুন ডিলার মনোনীত করা হয়েছে। লটারিতে যারা ডিলার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব বারান্দিপাড়া কেন্দ্র ২১টি আবেদনপত্রের মধ্য থেকে লটারিতে কামরুল হাসান টুটুল ডিলার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ড খালধার রোড কেন্দ্র ১৫টি আবেদনের প্রেক্ষিতে লটারি জিতেছেন শেখ আলী আকবর। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার রাজুর মোড় কেন্দ্রে ১৩টি আবেদনের মধ্যে ইব্রাহিম হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। একই ওয়ার্ডের বউ বাজার এলাকায় ৯টি আবেদনের মধ্যে বাবর আলী লটারিতে জয়ী হয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাঁঠালতলা কেন্দ্রে ১৪টি আবেদনের মধ্যে সালমা ইসলাম ডিলার মনোনীত হয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ড এম এম কলেজ এলাকা কেন্দ্রে ১৮টি আবেদনের মধ্যে হাশেম আলী মনোনীত হয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ড তেঁতুলতলা কেন্দ্রে ১১টি আবেদনের মধ্যে ইয়াছিন আলী মনোনীত হয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫টি আবেদনের মধ্যে এটিএম মইনুল ইসলাম ও বিসিক কেন্দ্রে মো. ইখতেয়ারকে লটারিতে ডিলার মনোনীত হয়েছেন।
তবে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই রোড কেন্দ্র এলাকা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিবি ক্লিনিক কেন্দ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্র এলাকায় ডিলার নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। উপস্থিত সম্ভাব্য ডিলাররা অভিযোগ করেন, এসব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আবেদন করেছেন বা তাদের প্রভাব রয়েছে। লটারি শুরুর আগেও হল রুম থেকে কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বের করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে সম্মেলন কক্ষে কিছুটা উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, স্থগিত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে।