বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বড় বাজারে কাঁচা সবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। এতে দৈনন্দিন বাজার করতে আসা মানুষ চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বাজারের সবজি বিক্রেতাদের দাবি, বর্ষার কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজার তদারকির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
শুক্রবারের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ওল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কলা ৫০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা এবং কচুরমুখি ৩০ টাকা। এছাড়া কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা এবং টমেটো ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, মাছ ও মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা, এবং ইলিশ (৫ পিসে ১ কেজি) ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৪৪ টাকা। জাতভেদে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
বাজার করতে আসা শহরের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, মাস শেষে বাজার করতে এসে মাথায় হাত। সবজির দাম এত বেশি যে অর্ধেক জিনিসও কিনতে পারছি না। এ যেন গরিবের উপর বাড়তি বোঝা।
আরেক ক্রেতা শিখা বেগম বলেন, সব জিনিসের দাম লাগামহীন। প্রশাসনের উচিত দ্রুত বাজার তদারকি করা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনা। তা না হলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে পারেন।
বাজারের বিক্রেতা সন্তোষ সাহা জানান, বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হচ্ছে। তাই বাজারে কাঁচামালের সংকট। এই কারণে দাম কিছুটা বেশি।