বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা প্রযুক্তির যুগে নিরক্ষরতা দূরীকরণে আধুনিক শিক্ষার ওপর জোর দেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। সভায় বক্তারা বলেন, সাক্ষরতা কেবল অক্ষরজ্ঞান নয়, বরং এটি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার অপরিহার্য হাতিয়ার। একজন নিরক্ষর মানুষ এই ডিজিটাল যুগে যেন অন্ধের মতোই। দেশের এখনও প্রায় ২৩-২৪ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর, যা টেকসই উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অতীতের সামাজিক আন্দোলনের মতো আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান যুগে শুধুমাত্র সাক্ষরজ্ঞান যথেষ্ট নয়। প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানেও দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রতিটি স্তরে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা অত্যন্ত জরুরি। এটি আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিককে আধুনিক বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে এবং নিজেদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ডালিয়া নওশিন লুবনা এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। বক্তারা সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।