বাংলার ভোর প্রতিবেদক
খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলার সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্টের মৃত্যুজনিত ও চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও নড়াইলের ৪৬ জন সাংবাদিকদের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আবারও মাথা চড়া দিয়ে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। মিছিল করছে, বিক্ষোভ করছে। ফ্যাসিবাদরা মাথা নাড়া দিচ্ছে আমাদের বিভেদের কারণে।
সাংবাদিকদের ভিতর পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছি। একে অপরকে জামায়াত বিএনপি বলে ঘায়েল করছি। এই আত্মঘাতি প্রবণতা থেকে বের না হতে পারলে চরম আমাদের মূল্য দিতে হবে। এই মূল্য বিগত ১৫ বছরের চেয়েও কঠিন হবে।
দেশাত্ববোধ, গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ ধারণ করে পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে জাতীয়তাবাদী, ইসলামপন্থী যাই হোক না কেন বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করি।
সাংবাদিকতায় স্বাধীনতার সুযোগে সাংবাদিকরা উদাসীন হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরোও বলেন, ‘লেখার স্বাধীনতা পেয়ে না ইচ্ছে লিখলাম, বললাম, এটা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয়। সাংবাদিকতার জায়গায় উদাসীন হয়ে যাচ্ছি আমরা। নিজেরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিলে আবারও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা হারাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুযোগে আমরা যেন কোন ভুয়া নিউজ না করি। তাহলে এগুলোকে পুঁজি করে স্বাধীনতা হরণের প্রেক্ষাপট তৈরি হবে। সাংবাদিক নিপীড়নের আইন করার সুযোগ নিবে ক্ষমতাসীনরা।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আরও বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে নতুন ফান্ড তৈরিতে সহায়তা করছে বর্তমান সরকার। সারা দেশে কর্মরত সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনতে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের উপপরিচালক বিএম রফিকুল ইসলাম, যশোরের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, বিএফইউজে নেতা রাশিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির, প্রেস ক্লাব যশোরের সাবেক সহসভাপতি নুর ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও মাগুরার ৪৫ জন সাংবাদিককে ২৫ লাখ টাকা অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।